Eknath Shinde vs Uddhav Thackeray

‘ওরাই আসল শিবসেনা’, শিন্ডেদের পক্ষে মহারাষ্ট্র বিধানসভার স্পিকারের রায়, ধাক্কা খেলেন উদ্ধব

উদ্ধবকে ক্ষমতাচ্যুত করা শিন্ডে এবং তাঁর সঙ্গী ১৫ বিধায়কের পদক্ষেপ ‘দলত্যাগ বিরোধী’ ছিল কি না, সুপ্রিম কোর্ট তা বিবেচনার ভার দিয়েছিল মহারাষ্ট্র বিধানসভার স্পিকারকে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ জানুয়ারি ২০২৪ ১৯:২৬
বাঁ দিক থেকে, একনাথ শিন্ডে এবং উদ্ধব ঠাকরে।

বাঁ দিক থেকে, একনাথ শিন্ডে এবং উদ্ধব ঠাকরে। — ফাইল চিত্র।

প্রত্যাশিত ছিল। আর হলও তাই। মহারাষ্ট্র বিধানসভার স্পিকার তথা বিজেপি বিধায়ক নারওয়েকর বুধবার বিকেলে জানিয়ে দিলেন, মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বাধীন গোষ্ঠীই ‘আসল শিবসেনা’। তাই উদ্ধব ঠাকরের কোনও আইনি ক্ষমতাই নেই শিন্ডে-সহ ১৬ বিধায়ককে বহিষ্কারের।

Advertisement

মহারাষ্ট্রের দলত্যাগী শিবসেনা বিধায়কদের পদ খারিজ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের বেঁধে দেওয়া সময়সীমার মধ্যেই এই স্পিকারের এই রায় কার্যত নিরঙ্কুশ করল শিন্ডের ক্ষমতা। শিবসেনার ভাঙনের মধ্যে দিয়ে ২০২২-এর জুনে উদ্ধব সরকারের পতন হয়েছিল। কুর্সিতে বসেছিলেন শিন্ডে। সেই সময়ে দলের অধিকারের দাবি করতে গিয়ে দু’পক্ষই অন্য শিবিরের বিধায়কদের পদ খারিজের আবেদন করে। তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধবের তরফে প্রথমে এ বিষয়ে আবেদন জানানো হয়েছিল।

বিজেপির সাহায্য নিয়ে উদ্ধবকে ক্ষমতাচ্যুত করা শিন্ডে এবং তাঁর সঙ্গে প্রথম দফায় ‘বিদ্রোহী’ আরও ১৫ জন শিবসেনা বিধায়কের সেই পদক্ষেপ ‘দলত্যাগ বিরোধী কার্যকলাপ’ ছিল কি না, গত ১১ মে সুপ্রিম কোর্ট তা বিবেচনার ভার দিয়েছিল মহারাষ্ট্র বিধানসভার স্পিকারকে। উদ্ধব শিবিরের অভিযোগ, সেই সিদ্ধান্ত নিতে ‘ইচ্ছাকৃত’ ভাবে দেরি করছেন স্পিকার। এর পরে সুপ্রিম কোর্ট স্পিকার নারওয়েকরকে এ বিষয়ে ১০ জানুয়ারির মধ্যে রায় ঘোষণার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল।

প্রসঙ্গত, শিন্ডে-সহ ১৬ শিবসেনা বিধায়ককে ‘অবস্থান’ স্পষ্ট করতে গত বছরের জুন মাসে নির্দেশ দিয়েছিলেন তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত স্পিকার (তথা ডেপুটি স্পিকার) নরহরি সীতারাম জিরওয়াল। কিন্তু সে সময় কিন্তু শিন্ডে শিবির জানিয়েছিল, ডেপুটি স্পিকারকে সরানোর জন্য আগেই বিধানসভায় প্রস্তাব পেশ করেছেন তাঁরা। তাই তাঁর কৈফিয়ত চাওয়ার অধিকার নেই। এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের একটি রায়কেই হাতিয়ার করেছিল শিন্ডেসেনা।

এর পরে ২০২৩ সালের ১১ মে প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন সাংবিধানিক বেঞ্চ জানায়, শিন্ডে-সহ ১৬ বিধায়কের পদ বহাল থাকবে কি না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন স্পিকার। অবশ্য তার আগেই সংখ্যাগরিষ্ঠ শিবসেনা বিধায়ক শিন্ডেশিবিরে যোগ দেন। তাঁদের সমর্থন নিয়ে এনসিপি বিধায়ক জিরওয়ালকে সরিয়ে স্পিকার হন বিজেপির নারওয়েকর।

দায়িত্ব পেয়েই উদ্ধব গোষ্ঠীর বিধায়ক সুনীল প্রভুকে সরিয়ে শিবসেনার চিফ হুইপ শিন্ডেসেনার অনিল পরবের নিয়োগে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন নারওয়েকর। এর পরে নির্বাচন কমিশন ২০১৩ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি শিন্ডেগোষ্ঠীকে ‘আসল শিবসেনা’র মর্যাদা দিয়ে শিবসেনার পতাকা এবং নির্বাচনী প্রতীক (তির-ধনুক) ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছিল। এ বার বিধানসভার স্পিকারের রায় নিরঙ্কুশ করল শিন্ডের কর্তৃত্ব।

Advertisement
আরও পড়ুন