Chinmoy Krishna Das

চিন্ময়ের জামিন বাতিলের পর সংঘর্ষে আইনজীবীর মৃত্যু: তদন্ত কমিটি থেকে পাঁচ সদস্যেরই পদত্যাগ

চট্টগ্রাম আদালতে সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের জামিন নামঞ্জুর হয়। তার পরেই সংঘর্ষ হয়েছিল আদালত চত্বরে। সে সময় আইনজীবীদের সংগঠনের সদস্য আলিফকে পিটিয়ে, কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছিল।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৮:৪৬
(বাঁ দিকে) চিন্ময়কৃষ্ণ দাস। আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ (ডান দিকে)।

(বাঁ দিকে) চিন্ময়কৃষ্ণ দাস। আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ (ডান দিকে)। — ফাইল চিত্র।

চট্টগ্রামের আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের হত্যার ঘটনায় আইনজীবীদের নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। সেই কমিটি থেকে একে একে সরে দাঁড়ালেন সকল সদস্যেরা। তাঁদের তরফে জানানো হয়েছে, এই ঘটনায় বেশ কয়েকটি মামলা হয়েছে। আইনজীবীরাই সেই হত্যার তদন্ত করলে তার নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। চট্টগ্রাম আদালতে সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের জামিন নামঞ্জুর হয়। তার পরে সংঘর্ষ হয়েছিল আদালত চত্বরে। সে সময় আইনজীবীদের সংগঠনের সদস্য আলিফকে পিটিয়ে এবং কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছিল।

Advertisement

আলিফ হত্যার তদন্তের জন্য সমিতির তরফে একটি কমিটি গঠন করা হয়। পাঁচ সদস্যের কমিটির প্রধান ছিলেন আইনজীবী মহম্মদ আবদুস সাত্তার। গত বুধবার তিনি ইস্তফাপত্র জমা দেন। এর দু’দিন আগে বাকি চার সদস্যও ইস্তফাপত্র জমা দিয়েছেন। শনিবার বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে। সাত্তার বলেন, আদালত চত্বরে সংঘর্ষ, ভাঙচুর, আইনজীবী আলিফ হত্যার বিষয়টি স্পর্শকাতর। পুলিশ, প্রশাসন, আদালতের কর্তাদের জড়িত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় ছয়টি মামলা হয়েছে। সেই মামলা নিয়ে পুলিশের পাশাপাশি বিভিন্ন সংস্থা তদন্ত করছে। আইনজীবীরা এই ঘটনার তদন্ত করলে নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে।’’ তিনি আরও জানিয়েছেন, আলিফের মৃত্যু নিয়ে বিচারকের নেতৃত্বাধীন তদন্তকমিটি গঠন করা উচিত। তাই আইনজীবীরা এই তদন্ত কমিটি থেকে ইস্তফা দিয়েছেন।

রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন চিন্ময়কৃষ্ণ। গত ২৬ নভেম্বর চট্টগ্রাম আদালতে তাঁর জামিন খারিজ হয়। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে আদালত চত্বর। সেখানে আইনজীবী আলিফকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। আলিফ চিন্ময়কৃষ্ণ বা সরকার, কোনও পক্ষেরই কৌঁসুলি ছিলেন না। আইনজীবী সংগঠনের সদস্যে হিসাবে সেখানে উপস্থিত ছিলেন বলে দাবি বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের। তাঁর হত্যা নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন হয়। এই ঘটনায় আলিফের বাবা এবং ভাই দু’টি মামলা করেছেন। পুলিশ তিনটি মামলা করেছে। আরও একটি মামলা হয়েছে। আইনজীবীকে খুনের অভিযোগে ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আদালতে ভাঙচুর, অশান্তির মামলায় গ্রেফতার ৪০ জন। উল্লেখ্য, ২ জানুয়ারি চট্টগ্রাম আদালতেই চিন্ময়কৃষ্ণের জামিনের আবেদনের শুনানি রয়েছে।

Advertisement
আরও পড়ুন