শাহবাজ শরিফ এবং তাঁর ছেলে হামজা। ফাইল চিত্র।
আর্থিক নয়ছয়ের মামলা থেকে নিষ্কৃতি পেতে আদালতের দ্বারস্থ হলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এবং তাঁর ছেলে তথা পাক পঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হামজা। পাক সংবাদপত্র দ্য ডন জানিয়েছে, সে দেশের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ফেডেরাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এফআইএ)-র আবেদন মেনে প্রায় ১,৬০০ কোটি পাকিস্তানি রুপি তছরুপের অভিযোগে শাহবাজ এবং হামজাকে তলব করেছিল আদালত। তারই প্রেক্ষিতে মামলার অভিযুক্তের তালিকা থেকে তাঁদের নাম বাদ দেওয়ার জন্য বিশেষ আদালতে আবেদন জানান পিতা-পুত্র।
বুধবার আদালতে হাজির হওয়ার জন্য আদালতের তরফে শাহবাজ-হামজাকে নির্দেশ দেওয়া হলেও তাঁরা হাজির হননি। তাঁদের আইনজীবী আমজাদ পারভেজ শুনানিপর্বে বলেন, ‘‘দেশ জুড়ে বন্যা পরিস্থিতি চলছে। তাই প্রধানমন্ত্রী সরকারি ত্রাণ ও উদ্ধারের কাজ পর্যবেক্ষণে ব্যস্ত রয়েছেন।’’ সেই সাফাই শুনে বিচারক ইজাজ হাসান আওয়াম বলেন, ‘‘জানি প্রধানমন্ত্রী ব্যস্ত মানুষ। তা বলে ১০ মিনিটের জন্যেও আদালতে আসা যায় না?’’ এর পরেই শুনানি স্থগিত করে আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর পরবর্তী শুনানির দিন ঘোষণা করেন তিনি। জানান, আগে পিতা-পুত্রের রেহাইয়ের আবেদনের শুনানি হবে আদালতে। ফলে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে শাহবাজ-হামজার রেহাই পাওয়ার বিষয়টি নিয়ে পরে শুনানির সম্ভাবনা।
পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন)-এর প্রতিষ্ঠাতা তথা প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ভাই শাহবাজের বিরুদ্ধে এফআইএ-র তরফে আর্থিক অনিয়মের মামলা দায়ের হয়েছিল ২০২০ সালে। সে সময় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পদে ছিলেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ দলের নেতা তথা প্রাক্তন পাক ক্রিকেট অধিনায়ক ইমরান খান। শাহবাজ এবং তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে চিনি দুর্নীতি থেকে পাওয়া অর্থ একাধিক বেনামি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে রাখার অভিযোগ আনা হয়। পরে মামলার তদন্তের ভার পায় এফআইএ। প্রসঙ্গত, ওই ঘটনার আগে অন্য় একটি দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতারও করা হয়েছিল শাহবাজকে।