তাজমহলের সামনে স্ত্রীয়ের সঙ্গে পারভেজ মুশারফ। ফাইল চিত্র।
তাজমহলের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়েছিলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট তথা সেনাপ্রধান পারভেজ মুশারফও। ২০০১ সালে ভারত সফরে এসেছিলেন সস্ত্রীক মুশারফ। ভারতে এসে আগ্রায় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বাজপেয়ীর সঙ্গে শীর্ষ বৈঠক করার পাশাপাশি তাজমহলও ঘুরে দেখেন তিনি। সে দিনের স্মৃতিচারণ করেছেন ভারতের প্রত্নতত্ত্ব সর্বেক্ষণ (এএসআই)-এর উচ্চপদস্থ আধিকারিক তথা ওই দিন মুশারফের সফরসঙ্গী কেকে মহম্মদ।
দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে গত রবিবারই প্রয়াত হয়েছেন মুশারফ। জনপরিসরের আলোচনায় আবারও ফিরে এসেছেন ভারত-পাক কার্গিল যুদ্ধের নেপথ্য ‘কারিগর’। মহম্মদ সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, তাজমহল দেখে মুশারফ এতটাই মুগ্ধ হয়েছিলেন যে, এই স্মৃতিসৌধের নকশা এবং পরিকল্পনা কে করেছেন, তা জানতে তিনি কৌতূহলী হয়ে ওঠেন। খানিক বিস্ময়ের সুরে মুশারফ মহম্মদকে প্রশ্ন করেছিলেন, “কে এই সুন্দর সৌধের পরিকল্পনা করেছে?” মহম্মদ তাঁকে জানান, তাজমহলের মূল কারিগর হলেন লাহোরের বাসিন্দা উস্তাদ আহমেদ লহরী। মহম্মদ বলেন, মুশারফ ভেবেছিলেন, আমি তাঁর প্রশ্নের উত্তরে শাহজাহানের নাম করব। কিন্তু তা না করে লাহোরের কারিগরের নাম করায় তিনি খুব খুশি হয়েছিলেন।”
শাহজাহান এবং মুমতাজের বিবাহবাসর লাহোর শহরে হয়েছিল, এটা জানার পরেও খুশি হয়েছিলেন মুশারফ। মহম্মদ আরও জানান যে, মুশারফ তাঁকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, কোন সময়ে তাজমহলের সৌন্দর্য সব চেয়ে ভাল উপভোগ করা যায়। ৪৫ মিনিট তাজমহল চত্বরে ছিলেন মুশারফ। স্ত্রীর সঙ্গে একান্তে সময় কাটানোর জন্য ৫ মিনিট সময় চেয়েছিলেন মুশারফ। পরে তাঁর আত্মজীবনী ‘লাইন অফ ফায়ার’-এও তাজমহলের সৌন্দর্য নিয়ে মুগ্ধতা প্রকাশ করেছিলেন পাকিস্তানের এই জাঁদরেল জেনারেল।