বেলারুশের অ্যালিস নোবেল শান্তি ভাগ করে নিলেন দুই সংগঠনের সঙ্গে। ছবি: সংগৃহীত।
নোবেল শান্তি পুরস্কার পেলেন বেলারুশের জেলবন্দি মানবাধিকার আন্দোলন কর্মী অ্যালিস বিলিয়াৎস্কি। শুক্রবার নরওয়ের নোবেল কমিটি ২০২২ সালের নোবেল শান্তি সম্মাননার জন্য তাঁর নাম ঘোষণা করেছে। অ্যালিসের পাশাপাশি, রাশিয়া ও ইউক্রেনের দুই মানবাধিকার সংগঠন— ‘রাশিয়ান হিউম্যান রাইটস অর্গানাইজেশন মেমোরিয়াল’ এবং ‘ইউক্রেনিয়ান হিউম্যান রাইটস অর্গানাইজেশন সেন্টার ফর সিভিল লিবার্টিজ’-কে ২০২২ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ বেলারুশের শাসক আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কোর সমালোচনার ‘অপরাধে’ অ্যালিস বর্তমানে জেলবন্দি। দীর্ঘ দিন ধরেই রাজনৈতিক বিরোধীদের উপর লুকাশেঙ্কো সরকারের দমননীতির সমালোচক হিসেবে তিনি পরিচিত। আশির দশকে সোভিয়েত ইউনিয়নের জমানাতেও মস্কোর কমিউনিস্ট নেতৃত্বের অগণতান্ত্রিক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে বেলারুশবাসীর আন্দোলনে জড়িত ছিলেন তিনি।
গণতন্ত্রের দাবিতে শুরু হওয়া সেই আন্দোলনই পরবর্তী সময়ে রুশ আধিপত্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পরিণত হয়। সোভিয়েতের পতনের পর স্বাধীন হয় বেলারুশ। যদিও এর পর পুতিন-ঘনিষ্ট বেলারুশের প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কো একই কায়দায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের নীতি গ্রহণ করেন। বেলারুশের বিরোধী নেতা পাভেল লাতুস্কো শুক্রবার বলেন, ‘‘অ্যালিস নিজেও বেলারুশ সরকারের দমননীতির শিকার।’’
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের বিরুদ্ধে গত কয়েক মাসে সদ্য নোবেলজয়ী দুই মানবাধিকার সংস্থার ভূমিকা একাধিক আন্তর্জাতিক মঞ্চে প্রশংসিত হয়েছে। নরওয়ে নোবেল কমিটি তাদের বিবৃতিতে বলেছে, ‘এ বারের নোবেলজয়ীরা নিজেদের দেশে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি হিসাবে নাগরিকদের মৌলিক অধিকার রক্ষার লড়াইয়ে শামিল। যুদ্ধাপরাধ, মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের বিরুদ্ধে সেই দৃষ্টান্তমূলক লড়াইয়ের স্বীকৃতি হিসেবেই এই সম্মাননা।’