নওয়াজ শরিফ। —ফাইল চিত্র।
পাকিস্তানের ভোটে জয়ের দাবি করলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। শুক্রবার তাঁর দাবি, পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) নির্বাচনে সবচেয়ে বড় দল হিসাবে অলিখিত স্বীকৃতি পেয়ে গিয়েছে। সংবাদসংস্থা রয়টার্স খবর জানিয়েছে। শরিফের জানিয়েছেন, দেশে জোট সরকার গড়তে সমমনস্ক দলগুলির সঙ্গে আলোচনাও শুরু করে দিতে চান।
পাকিস্তানের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে মোট আসন ২৬৬টি। সরকার গড়ার জন্য দরকার ন্যূনতম ১৩৩টি আসন। যদিও জয়ের দাবি করা শরিফ, তাঁর দল কতগুলি আসন পেয়েছে সেই সংখ্যা জানাননি। ভারতীয় সময় রাত সাড়ে ৯টায় পিএমএল-এন ৪৩টি আসনে জয়লাভ করেছে। বিলাবল ভুট্টোর পাকিস্তান পিপ্লস পার্টি বা পিপিপি পেয়েছে ৩৬টি আসন। তবে সকলকে পিছনে ফেলে এগিয়ে চলেছে ইমরানের দল পিটিআই সমর্থক নির্দল প্রার্থীরা। রাত সাড়ে ৯টায় পাকিস্তানের নির্দল প্রার্থীরা ৬২টি আসনে জয়লাভ করেছেন। পাকিস্তানের ভোট বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শরিফের দাবি খুব একটা ভুল নয়। বস্তুত, শরিফের দল পিএমএল-এন দলগত ভাবে সবচেয়ে বেশি আসন পেয়েছে। ইমরান সমর্থিত নির্দল প্রার্থীরা কেউই দলীয় প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেননি। ফলে, দলগত ভাবে পিএমএল-এন পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় দল। ফলাফলের চিত্র যা ইঙ্গিত দিচ্ছে, তাতে প্রতিবেশী দেশে ত্রিশঙ্কু সরকার তৈরির সম্ভাবনাই প্রবল।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, সরকার গড়তে অন্যান্য দলের সঙ্গেও আলোচনা শুরু করার কথা ভাবনাচিন্তা শুরু করে দিয়েছেন শরিফ। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর দলের নেতৃত্ব অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জোট সরকার গড়া নিয়ে আলোচনা করবেন। ভুট্টোর পিপিপির সঙ্গেও তাঁদের আলোচনা হবে। সূত্রের খবর, শরিফের দলের তরফে শাহবাজ শরিফ পিপিপির আসিফ আলি জ়ারদারি এবং জামিয়াত উলেমায়ে ইসলাম (এফ)-এর মৌলানা ফজলুর রহমানের সঙ্গে জোট সরকার গঠন নিয়ে আলোচনা চালাবেন।