বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। —ফাইল চিত্র।
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মন্তব্য সমাজমাধ্যম এবং গণমাধ্যম থেকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিল বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি)। ওই মন্তব্যগুলিকে ‘বিদ্বেষমূলক’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার হাসিনার মন্তব্যের বিরুদ্ধে আইসিটির দ্বারস্থ হয়েছিল। বৃহস্পতিবার এই সংক্রান্ত নির্দেশ দিয়েছে আইসিটি।
বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের যে অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে, তার প্রেক্ষিতে চলতি সপ্তাহের শুরুতে আমেরিকার নিউ ইয়র্কে আওয়ামী লীগের একটি অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল মাধ্যমে ভাষণ দিয়েছিলেন হাসিনা। সেখানে তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসকে বাংলাদেশে অশান্তির জন্য দায়ী করেন। তিনি দাবি করেছিলেন, ইউনূসই বাংলাদেশে গণহত্যা পরিকল্পনা করেছিলেন। সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের নেপথ্যেও তিনি রয়েছেন বলে দাবি করেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর বক্তব্য ছিল, ইউনূস এবং তাঁর ছাত্র সহায়কেরা বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপাসনাস্থল ভাঙচুর করছেন, ইসকনের প্রতিষ্ঠানেও হামলা চালাচ্ছেন। হাসিনা বলেন, ‘‘এখন আমাকে ওরা গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত করেছে। আসলে বাংলাদেশে গণহত্যার জন্য দায়ী ইউনূসের পরিকল্পনা।’’
হাসিনার এই মন্তব্যের পর বাংলাদেশে তা নিয়ে ব্যাপক চর্চা হয়। অনেকেই মন্তব্যের বিরোধিতা করেছেন। অন্তর্বর্তী সরকারের তরফে এই মন্তব্যের বিরুদ্ধে আইসিটিতে আবেদন জানানো হয়। তাদের বক্তব্য, হাসিনার মন্তব্যের প্রচার সমাজমাধ্যম এবং গণমাধ্যমে নিষিদ্ধ না হলে তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত প্রভাবিত হতে পারে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মহম্মদ গোলাম মর্তুজা মজুমদার বৃহস্পতিবার ওই মন্তব্য সর্বত্র নিষিদ্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন। টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিটিকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে বলা হয়েছে।
আইসিটিতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের তরফে যিনি সওয়াল করেছেন, সেই আইনজীবী আবদুল্লা আল নোমান জানিয়েছেন, ট্রাইব্যুনালের নির্দেশটি আন্তর্জাতিক স্তরেও পাঠানোর বন্দোবস্ত করা হচ্ছে।