বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। —ফাইল চিত্র।
বাংলাদেশের ভিসা সহজে পেয়ে যাবেন পাকিস্তানিরা। বিশ্বের যে কোনও প্রান্ত থেকে কোনও পাকিস্তানের নাগরিক যদি বাংলাদেশে যেতে চান, তাঁদের ভিসা সংক্রান্ত সমস্যা হবে না। সব দেশে বাংলাদেশের দূতাবাস এবং উপদূতাবাসে এমনটাই নির্দেশ পাঠিয়েছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তিকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের প্রশাসন। পাকিস্তানিদের বাংলাদেশে প্রবেশ যাতে আরও সহজ এবং ঝঞ্ঝাটমুক্ত হয়, তা নিশ্চিত করতেই এই পদক্ষেপ।
বিদেশে বাংলাদেশের যত দূতাবাস এবং উপদূতাবাস রয়েছে, যেখান থেকে বিদেশি নাগরিকদের ভিসা দেওয়া হয়, সেই সমস্ত জায়গায় বার্তা পাঠিয়েছে ঢাকা। গত সোমবার বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সিকিউরিটি সার্ভিস ডিভিশন থেকে বিদেশ মন্ত্রকে একটি চিঠি পাঠানো হয়। তার পরেই বিদেশ মন্ত্রক বিভিন্ন দেশে অবস্থিত বাংলাদেশি দূতাবাস এবং উপদূতাবাসগুলিতে পাকিস্তানিদের ভিসা সংক্রান্ত বার্তাটি পাঠিয়েছে। পাকিস্তানি নাগরিকদের পাশাপাশি পাকিস্তানি বংশোদ্ভূতদের জন্যেও এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে।
বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারির পর থেকে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের অভিযোগে সরব বিভিন্ন মহল। ভারতের সঙ্গে সম্পর্কেরও কিছুটা অবনতি হয়েছে। সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নয়াদিল্লি। চিন্ময়কৃষ্ণ নিরপেক্ষ বিচারের সুযোগ পাবেন, আশা প্রকাশ করা হয়েছিল ভারতের তরফে। ভারতের রাস্তায় বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদও দেখা গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সম্প্রতি ত্রিপুরার আগরতলায় বাংলাদেশের উপদূতাবাসের সামনে প্রতিবাদের খবর মেলে। নিরাপত্তা ভেদ করে উপদূতাবাসে প্রতিবাদীরা ঢুকে পড়েছিলেন বলে অভিযোগ। এর পর ওই দফতর থেকে ভিসা দেওয়া বন্ধ করে দেয় ঢাকা।
এক দিকে যখন ভারতে বাংলাদেশের একটি উপদূতাবাস থেকে ভিসা দেওয়া বন্ধ হয়েছে, তখন অন্য দিকে বিএনপি প্রধান খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠক করেন পাকিস্তানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সৈয়দ আহমেদ মারুফ। তার পরেই পাকিস্তানিদের ভিসা সংক্রান্ত নির্দেশিকাটি জারি করেছে ইউনূস প্রশাসন।