Lieutenant General (rtd.) Jahangir Alam Chowdhury

বাংলাদেশ নয়, শান্তিসেনা ভারতেই পাঠানো উচিত! মমতার মন্তব্য নিয়ে খোঁচা ইউনূসের উপদেষ্টার

সীমান্তে কোনও উত্তেজনা না থাকলেও বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে ভারতে ধারাবাহিক অপপ্রচার চলছে বলে অভিযোগ করেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গির আলম চৌধুরী।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ১২:৪৩
(বাঁ দিক থেকে) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মুহাম্মদ ইউনূস এবং জাহাঙ্গির আলম চৌধুরী।

(বাঁ দিক থেকে) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মুহাম্মদ ইউনূস এবং জাহাঙ্গির আলম চৌধুরী। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।

বাংলাদেশ নয়, আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষা বাহিনী পাঠানো উচিত ভারতে! বৃহস্পতিবার এই ‘নিদান’ দিলেন মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) জাহাঙ্গির আলম চৌধুরী। ঘটনাচক্রে, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অশান্ত বাংলাদেশে রাষ্ট্রপুঞ্জের শান্তিসেনা (ইউএন পিস কিপিং ফোর্স) মোতায়েনের পক্ষে সওয়াল করার ঠিক তিন দিনের মাথায় শোনা গেল তাঁর এই মন্তব্য।

Advertisement

নারায়ণগঞ্জের পূর্বাচলের ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স মাল্টিপারপাস ট্রেনিং গ্রাউন্ডে আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবক দিবস কর্মসূচিতে যোগ দিতে গিয়েছিলেন জাহাঙ্গির। সেখানে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশে নয়, ভারতে শান্তিরক্ষা বাহিনী পাঠানো উচিত।’’ তবে এ বিষয়ে কোনও বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেননি তিনি।

সীমান্তে কোনও উত্তেজনা না থাকলেও বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে ভারতে ধারাবাহিক অপপ্রচার চলছে বলে অভিযোগ করেন বাংলাদেশ সেনার ওই প্রাক্তন কর্তা। সেই সঙ্গে বলেন, ‘‘আমরা ঐক্যবদ্ধ ভাবে সমস্ত ষড়যন্ত্রের মোকাবিলা করব।’’ প্রসঙ্গত, সোমবার দুপুরে বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বাংলাদেশে শান্তিসেনা পাঠানোর জন্য কেন্দ্রকে রাষ্ট্রপুঞ্জের সঙ্গে কথা বলার আর্জি জানিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “আমাদের প্রস্তাব, কেন্দ্র রাষ্ট্রপুঞ্জের কাছে বাংলাদেশে শান্তিসেনা পাঠানোর আর্জি জানাক।”

বাংলাদেশে ভারতীয়েরা আক্রান্ত হলে তাঁর সরকার তা সহ্য করবে না বলেও বিধানসভায় জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেছিলেন, “যদি বাংলাদেশে ভারতীয়রা আক্রান্ত হন, তবে আমরা তা সহ্য করব না। আমরা তাঁদের সেখান থেকে ফিরিয়ে আনতে পারি।” ওই প্রসঙ্গেই তাঁর মন্তব্য ছিল, “আমাদের পরিবার, সম্পত্তি এবং প্রিয় মানুষেরা বাংলাদেশে আছেন। ভারত সরকার এই বিষয়ে (বাংলাদেশ) যে অবস্থান নেবে, আমরা তা গ্রহণ করব। কিন্তু বিশ্বের যে কোনও প্রান্তে ধর্মীয় কারণে কেউ অত্যাচারিত হলে আমরা তার নিন্দা জানাই। আমরা এই বিষয়ে ভারত সরকার এবং প্রধানমন্ত্রীকে হস্তক্ষেপ করার আর্জি জানাচ্ছি।” এ বার সেই মন্তব্য নিয়েই নয়াদিল্লিকে ‘প্রত্যাঘাত’ করল ঢাকা।

Advertisement
আরও পড়ুন