গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
রাষ্ট্রপুঞ্জে ইরানের রাষ্ট্রদূত আমির সইদ ইরাভানির সঙ্গে বৈঠক করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘দূত’ ইলন মাস্ক। ইজ়রায়েল-ইরান সংঘাতের আবহে পশ্চিম এশিয়ায় যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এই আবহে মাস্ক-সইদের বৈঠক ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে মনে করছেন কূটনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ।
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ভোটের প্রচারে আগাগোড়া ট্রাম্পের সঙ্গী ছিলেন তাঁর ধনকুবের বন্ধু মাস্ক। জয়ের পরে ফ্লরিডায় বিজয় ভাষণে আলাদা ভাবে মাস্ককে ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন ট্রাম্প। আমেরিকার পরবর্তী প্রেসিডেন্ট ইতিমধ্যেই ‘ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি’ (ডজ়) নামে একটি নতুন মন্ত্রক গড়ার কথা ঘোষণা করেছেন। তাঁর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এক্স হ্যান্ডল এবং টেসলার মালিককে।
ট্রাম্প তাঁর নির্বাচনী প্রচারে বারে বারেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, দ্বিতীয় বার হোয়াইট হাউসে প্রবেশাধিকার পেলে তিনি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করার পাশাপাশি পশ্চিম এশিয়ায় শান্তি ফেরাতে সক্রিয় হবেন। ইরানের দূতের সঙ্গে মাস্কের বৈঠক সেই প্রতিশ্রুতি কার্যকরের পথে পদক্ষেপ বলেই আমেরিকার সংবাদমাধ্যমের একাংশ মনে করছে। যদিও রিপাবলিকান পার্টির নেতাদের একাংশ এখনও প্রকাশ্যে ইরান-বিরোধী। প্রেসিডেন্ট পদে প্রথম মেয়াদে ট্রাম্পও তেহরানকে চাপে রাখার নীতি নিয়েছিলেন। জারি করেছিলেন একাধিক অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে কি কৌশল বদলানোর বার্তা দিলেন তিনি? যদিও সরকারি ভাবে কোনও পক্ষই বৃহস্পতিবার রাতের ওই বৈঠক সম্পর্কে কিছু জানায়নি।