(বাঁ দিক থেকে) নরেন্দ্র মোদী, এস জয়শঙ্কর এবং মুহাম্মদ ইউনূস। —ফাইল চিত্র।
বৃহস্পতিবার রাতে ব্যাঙ্ককের রাজধানী তাইল্যান্ডে বিমস্টেক সম্মেলনের নৈশভোজে পাশাপাশি বসেছিলেন তাঁরা। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসকে তেমন বাক্যালাপ করতে দেখা যায়নি। তবে শুক্রবার দ্বিপাক্ষিক পার্শ্ববৈঠকে হাসিমুখেই সৌজন্য বিনিময় করলেন তাঁরা। ব্যাঙ্ককের বৈঠকে হাজির ছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও।
বাংলাদেশে ক্ষমতার পালাবদলের পরে গত বছরের ৮ অগস্ট আনুষ্ঠানিক ভাবে অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নিয়েছিলেন ইউনূস। এই প্রথম মোদীর সঙ্গে তাঁর বৈঠক হল। যদিও শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত বৈঠক ঘিরে কিছুটা অনিশ্চয়তা ছিল। বুধবার ইউনূসের রোহিঙ্গা সমস্যা ও অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিষয় সংক্রান্ত উচ্চ প্রতিনিধি খলিলুর রহমান ঢাকায় দাবি করেছিলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকটি হচ্ছে বলেই তাঁদের কাছে খবর। তাঁর কথায়, ‘‘আমাদের কাছে যে তথ্য আছে, তাতে এটা মনে করার যথেষ্ট কারণ আছে যে, মোদী-ইউনূস বৈঠকটি হচ্ছে।’’
এর পরে বৃহস্পতিবার ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘‘বাংলাদেশ ও ভারত দুই দেশের সরকার প্রধানের মধ্যে আগামিকাল পার্শ্ববৈঠক হবে।’’ কিন্তু নয়াদিল্লির তরফে বৈঠকের বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু জানানো হয়নি। গত ৫ অগস্ট গণঅভ্যুত্থানের জেরে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছেড়েছিলেন। সেই থেকে আওয়ামী লীগ নেত্রী ভারতেই রয়েছেন, যা নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের পদাধিকারীরা নয়াদিল্লিকে নিশানা করেছেন। পাশাপাশি, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের ধারাবাহিক ঘটনাও নয়াদিল্লি-ঢাকা টানাপড়েনের অনুঘটক হয়েছে। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এর মধ্যে প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফরে চিনে গিয়ে সে দেশের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে একাধিক চুক্তি করে এসেছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান। তাই ব্যাঙ্ককে আদৌ মোদী-ইউনূস বৈঠক হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় ছিল কূটনীতিকদের অনেকের মনেই। শেষ পর্যন্ত জল্পনার অবসান ঘটালেন দুই রাষ্ট্রনেতা।