China-Philippines Conflict

দক্ষিণ চিন সাগরে আবার উত্তেজনা, বেজিংয়ের রাষ্ট্রদূতকে ফিলিপিন্স তলব করল, উদ্বিগ্ন আমেরিকা

সোমবার ফিলিপিন্সের বিদেশ দফতর সে দেশে নিযুক্ত চিনা রাষ্ট্রদূতকে তলব করে কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে। ঘটনার জেরে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে আমেরিকা।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ ২২:৫৬
An image of South China Sea

ছবি: রয়টার্স।

দক্ষিণ চিন সাগরে একাধিপত্যের দাবি থেকে এক ইঞ্চিও সরছে না বেজিং। রবিবার বিতর্কিত এলাকার দখলদারি নিয়ে ফিলিপিন্সের সঙ্গে সঙ্ঘাতে জড়াল চিনা নৌসেনা। ‘বিপজ্জনক ভাবে’ কয়েকটি চিনা যুদ্ধজাহাজ ফিলিপিন্সের টহলদারি জলযানের দিকে ধেয়ে যায় বলে অভিযোগ।

Advertisement

ঘটনার জেরে সোমবার ফিলিপিন্সের বিদেশ দফতর সে দেশে নিযুক্ত চিনা রাষ্ট্রদূতকে তলব করে কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে। ঘটনার জেরে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে আমেরিকা। ফিলিপিন্স নৌরক্ষী বাহিনীর প্রকাশ করা একটি ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, দক্ষিণ চিন সাগরে অবস্থিত স্কারবোরো শোল এবং সেকেন্ড থমাস শোল এলাকায় ফিলিপিন্সের পণ্যবাহী একটি নৌযানের দিকে চীনা নৌসেনার জাহাজ থেকে জলকামান ছোড়া হচ্ছে। এ ছাড়া সেকেন্ড থমাস শোল এলাকায় দু’দেশের নৌরক্ষীদের মধ্যে সংঘর্ষও হয়েছে।

২০১২ সালে ফিলিপিন্সের কাছ থেকে স্কারবোরো শোলের দখল নিয়েছিল চিন। আর চিনের আগ্রাসন ঠেকাতে ১৯৯৯ সালে ফিলিপিন্স নৌবাহিনী সেকেন্ড থমাস শোলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার একটি জাহাজ ফেলে রেখে তাতে অবস্থান নিয়েছে। ২০১৬ সালে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল দক্ষিণ চিন সাগরে বেজিংয়ের একতরফা দখলদারি দাবি খারিজ করে দিলেও তা মানতে নারাজ জিনতাও সরকার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement