—প্রতীকী চিত্র।
নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন তেহেরিক-ই-মুজাহিদিনের অন্যতম সক্রিয় সদস্য জাভেদ মুন্সি ঘাঁটি গেড়েছিল ক্যানিংয়ে। মহকুমা হাসপাতালের উল্টো দিকে ঢালি পাড়ার একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকা এক আত্মীয়ের কাছে গত শুক্রবার থেকে ছিল আদতে কাশ্মীরের বাসিন্দা এই জঙ্গি। শনিবার রাতে ওই বাড়ি ঘিরে ফেলে পুলিশ। ধরা পড়ে জাভেদ। গোয়েন্দাদের অনুমান, ক্যানিং থেকে বাংলাদেশ ও নেপাল হয়ে পাকিস্তানে যাওয়ার পরিকল্পনা করছিল সে। বেশ কিছু নথি বাজেয়াপ্ত হওয়ার পরে জাভেদের সঙ্গে পাকিস্তান যোগ স্পষ্ট হয়েছে বলেও তদন্তকারীদের দাবি।
এই ঘটনার পরেই প্রশ্ন উঠছে, বহিরাগতদের ঘর ভাড়া দেওয়ার ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত নথিপত্র না দেখা হয় কি? নাকি সে সব ব্যবস্থা না থাকার সুযোগে দুষ্কৃতী, জঙ্গি সংগঠনের সদস্যেরা আস্তানা তৈরি করছে। এ ক্ষেত্রে পুলিশ-প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্যানিংয়ের বাসিন্দারা।
হাসপাতাল মোড় সংলগ্ন ঢালি পাড়ায় মোনাব্বর পিয়াদা নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে ঘর ভাড়া নিয়েছিলেন গোলাম মহম্মদ নামে কাশ্মীরের এক শাল ব্যবসায়ী। প্রতি বছর শীতেই তিনি আসেন। সেই ভাড়া বাড়িতে তাঁর জামাইবাবু জাভেদ এসেছিল বলে পুলিশ জানায়। খবর পেয়ে জম্মু কাশ্মীর পুলিশ ও রাজ্য এসটিএফ গ্রেফতার করে জাভেদকে।
এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, এ ভাবেই বহু বহিরাগত মানুষ এলাকায় ঘর ভাড়া নিচ্ছেন। কিন্তু যথার্থ প্রমাণপত্র না দেখেই তাঁদের ঘর ভাড়া দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এলাকার বাসিন্দা নিরুপম দাস, মিথিলা বিশ্বাসেরা বলেন, “ঘর ভাড়া দিতে গেলে যেটুকু পরিচয়পত্র প্রয়োজন, সেগুলি দেখা হচ্ছে না। অপরিচিতকে ঘর ভাড়া দিলে সে বিষয়ে পুলিশ-প্রশাসনকেও জানানো হচ্ছে না। পুলিশের তরফ থেকেও এ বিষয়ে কোনও কড়াকড়ি নেই। সেই সুযোগটাই নিচ্ছে জাভেদের মতো লোকেরা।’’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ কর্মী বলেন, “এই এলাকায় বহু মানুষ বাড়ি ভাড়া দেন। কিন্তু কাকে বাড়ি ভাড়া দিচ্ছেন, তাঁর পরিচয়পত্র রাখা বা সে বিষয়ে থানায় কোনও তথ্যই কেউ জানান না। পুলিশ ও এ বিষয়ে কোনও উদ্যোগ করে না। সেই সুযোগটাই নিচ্ছে সমাজবিরোধীরা।”
বাঘের আতঙ্ক বাসন্তীর গ্রামে
বাসন্তী: এ বার বাঘের আতঙ্ক বাসন্তীর জ্যোতিষপুরে। হরেকৃষ্ণপুর মৌজার ফিশারি পাড়ায় মাঠের নরম মাটিতে বেশ কয়েকটি বাঘের পায়ের ছাপ দেখা গিয়েছে বলে দাবি গ্রামের মানুষের। আতঙ্কিত এলাকার মানুষজন। মাতলা রেঞ্জের বন দফতরে খবর দেওয়া হয়েছে।