Mukul Roy

‘সুপ্রিম কোর্ট খুললে পাব সুবিচার’, শুভেন্দুর আশা, খারিজ হবে দলত্যাগী মুকুলের বিধায়ক পদ

২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে কৃষ্ণনগর-উত্তর কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন মুকুল। কিন্তু, ১১ জুন তৃণমূল ভবনে গিয়ে বিজেপি ছেড়ে শাসকদলে যোগ দেন তিনি।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২২ ২৩:১১
মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের মামলার সুবিচারের আশা শুভেন্দুর।

মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের মামলার সুবিচারের আশা শুভেন্দুর। ফাইল চিত্র।

বড়দিনের ছুটির পরে সুপ্রিম কোর্ট খুললে মুকুল রায়ের বিধায়ক খারিজের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা মামলার ‘সুবিচার’ মিলবে বলে আশা প্রকাশ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সোমবার শুভেন্দু বলেন, ‘‘মুকুল রায়ের সদস্যপদ (বিধানসভার) বাতিলের জন্য অধ্যক্ষের (বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়) সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আমি সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছি। এবং আশা করি বড়দিনের ছুটির পরে সুপ্রিম কোর্ট খুললে আমি সুবিচার পাব।’’

বিজেপি ছেড়ে যে বিধায়কের তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন তাঁদের অবস্থা ‘কুমড়োর মতো’ বলেও দাবি করেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, ‘‘কুমড়োর বাইরের রংটা থাকে সবুজ। কাটলে ভিতরে গেরুয়া।’’ তেমনই দলত্যাগী বিজেপি বিধায়কের বাইরে তৃণমূলের হলেও বিধানসভার অন্দরে মুখ্যমন্ত্রী এবং স্পিকার তাঁদের ‘বিজেপি’ বলেই চিহ্নিত করেন বলে দাবি বিরোধী দলনেতার।

Advertisement

সংবিধানের দশম তফসিল পশ্চিমবঙ্গে অনুসৃত হয় না বলেও সোমবার অভিযোগ করেছেন শুভেন্দু। প্রসঙ্গত, সংবিধানের দশম তফসিল অনুসারে, কোনও বিধায়ক দলবিরোধী আচরণ করছেন কি না, এবং সেই কারণে তাঁর সদস্যপদ খারিজ হবে কি না, তা নির্ধারণের চূড়ান্ত অধিকার স্পিকারের। অর্থাৎ কোনও বিধায়কের কার্যকলাপ ‘দলত্যাগ’-এর সমতুল হবে কি না, তা স্থির করবেন স্পিকার।

মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে দীর্ঘ দিন ধরেই সরব বিজেপি। ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে কৃষ্ণনগর-উত্তর কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন মুকুল। কিন্তু, ১১ জুন তৃণমূল ভবনে গিয়ে বিজেপি ছেড়ে শাসকদলে যোগ দেন। তার পর থেকেই তাঁর বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে কখনও স্পিকার, কখনও আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে বিজেপি পরিষদীয় দল। ‘দলত্যাগী’ মুকুলকে পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির (পিএসি) চেয়ারম্যান করার বিরোধিতা করে একটি পৃথক মামলাও সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা হয়েছিল বিজেপির তরফে।

কিন্তু স্পিকারের বক্তব্য, মুকুল এখনও বিজেপিতেই রয়েছেন। তাই তিনি বিজেপির বিধায়ক। তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কোনও প্রমাণ নেই। গত রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধী প্রার্থী যশবন্ত সিনহাকে ভোট দিতে এসে মুকুল দাবি করেছিলেন তিনি তৃণমূল বিধায়ক। তার জেরে অস্বস্তিতে পড়েছিল শাসকদল। সোমবার বিরোধী দলনেতার দাবিতে মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজের জল্পনা বাড়ল।

আরও পড়ুন
Advertisement