তামিম ইকবাল। —ফাইল চিত্র।
দ্বিতীয় বার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেন তামিম ইকবাল। ২০২৩ সালের জুলাইয়ে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে অবসর নিয়েছিলেন তিনি। যদিও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন। এ বার আর ফেরার সম্ভাবনা নেই বলেই জানিয়েছেন তামিম।
বাংলাদেশের হয়ে ২০০৭ সাল থেকে খেলছেন তামিম। দেশকে নেতৃত্বও দিয়েছেন। ৭০টি টেস্ট, ২৪৩টি এক দিনের ক্রিকেট এবং ৭৮টি টি-টোয়েন্টি খেলে অবসর নিলেন তামিম। ২০২৩ সালে তিনি অবসর নেওয়ার পর বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁকে খেলা না ছাড়ার অনুরোধ করেছিলেন। যে কারণে সিদ্ধান্ত বদল করেছিলেন তামিম। এ বারেও তাঁকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড খেলা না ছাড়াও অনুরোধ করেছিল। তামিম নির্বাচকদের অবসরের সিদ্ধান্ত জানানোর পর আশরাফ হোসেনের কমিটি তাঁকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলার কথা বলে। কিন্তু তামিম রাজি হননি। বাংলাদেশের কিছু ক্রিকেটার, অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তও অনুরোধ করেছিলেন অবসর না নিতে। তামিম ভাবার জন্য এক দিন সময় নিয়েছিলেন। কিন্তু সিদ্ধান্ত বদল করেননি।
সমাজমাধ্যমে তামিম লেখেন, “অনেক দিন ধরেই আমি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে দূরে। সেই দূরত্ব রয়েই যাবে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আমার যাত্রা শেষ। অনেক দিন ধরেই অবসর নেওয়ার কথা ভাবছি। সামনেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি রয়েছে। আমি আবার আলোচনার কেন্দ্রে আসতে চাই না। তাতে দলের সমস্যা হতে পারে। সেটা আমি চাই না। অধিনায়ক শান্ত আমাকে দলে ফিরতে বলেছিল। নির্বাচকদের সঙ্গেও আলোচনা হয়েছিল। এখনও আমাকে দলে নেওয়ার কথা তারা ভাবছে জেনে ভাল লাগল। কিন্তু আমি হৃদয়ের কথাই শুনলাম।”
অনেক দিন আগেই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের বার্ষিক চুক্তি থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন তামিম। তিনি বলেন, “আমি চুক্তি থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলাম, কারণ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে চাই না। অনেকে বলছেন আমি নাকি সিদ্ধান্ত পরিষ্কার করে জানাইনি। কিন্তু বার্ষিক চুক্তিতে নেই এমন ক্রিকেটারের কথা কেউ ভাববে কেন? আমি তো এক বছর আগে নিজের ইচ্ছায় চুক্তি থেকে নাম সরিয়ে নিয়েছি। তার পরেও আমাকে নিয়ে ভাবে অযৌক্তিক। এক জন পেশাদার ক্রিকেটার খেলবে না কি খেলবে না, সেটা তাঁর নিজের সিদ্ধান্ত হওয়া উচিত। আমি নিজেকে ভাবার সময় দিয়েছি। এখন মনে হচ্ছে সমস্য এসে গিয়েছে।”