genetically modified cotton

নির্বিচারে জিন বদলানো তুলোর বীজের চাষ নয়, দিল্লি হাই কোর্ট নির্দেশ দিল অন্ধ্রপ্রদেশকে

দিল্লি হাই কোর্ট জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রকের অধীনস্থ সংস্থা জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যাপ্রাইজ়াল কমিটি অনুমোদিত বিশেষ বিজ ছাড়া অন্য কোনও জিএম তুলোর বীজ বিক্রি করা যাবে না।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২২ ১৬:৫৬
নির্বিচারে জিন বদলানো তুলোর বীজের ব্যবহারের উদ্য়োগে ‘না’ দিল্লি হাই কোর্টের।

নির্বিচারে জিন বদলানো তুলোর বীজের ব্যবহারের উদ্য়োগে ‘না’ দিল্লি হাই কোর্টের। ফাইল চিত্র।

একটি বিশেষ সংস্থার বীজ ছাড়া জিন বদলানো তুলোর (জেনেটিক্যালি মডিফায়েড কটন বা জিএম কটন) চাষের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করল দিল্লি হাই কোর্ট।

সংশ্লিষ্ট সংস্থার আবেদনের ভিত্তিতে অন্ধ্রপ্রদেশের বীজ বিপণন সংস্থাকে দিল্লি হাই কোর্টের বিচারপতি অমিত বনশলের নির্দেশ— কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রকের অধীনস্থ সংস্থা জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যাপ্রাইজ়াল কমিটি (জিইএসি)-র অনুমোদিত ওই বিশেষ বিজ ছাড়া অন্য কোনও ব্র্যান্ডের জিএম তুলোর বীজ বিক্রি বা চাষে ব্যবহার করা যাবে না।

Advertisement

রোগ এবং পোকা ধরা ঠেকাতে ২০০২ সালে জিন বদলানো তুলোর চাষ শুরু হয়েছিল ভারতে। কিন্তু দেশের বিভিন্ন অংশে বীজের গুণমান যাচাই না করে নির্বিচারে জিএম তুলো চাষের ফলে প্রত্যাশিত ফল মিলছে না বলে অভিযোগ। বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ তুলো উৎপাদনকারী দেশ ভারতে এখন বেশির ভাগ চাষই হয় জৈবপ্রযুক্তিগত ভাবে জিন বদলানো তুলোর বীজ দিয়ে।

সরকারি সূত্রের খবর, জিইএসি-র তরফে ওই বিশেষ সংস্থাকে, ২০১৪ সালে জিন বদলানো তুলোর বীজ বিপণনের ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছিল। ভারতীয় কৃষি গবেষণা পরিষদ (ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ এগ্রিকালচারাল রিসার্চ বা আইসিএআর)-এর সুপারিশের ভিত্তিতেই ছিল সেই ছাড়পত্র। কিন্তু অন্ধ্রের বীজ বিপণন সংস্থা অন্য কোম্পানির বীজের বিক্রি এবং চাষে সহায়তার সিদ্ধান্ত নেওয়া বিতর্ক গড়ায় হাই কোর্টে।

আরও পড়ুন
Advertisement