Central Government

বাংলার জন্য প্রাপ্তি কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে, আর্থিক বিকাশে ১০ হাজার কোটি বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত

বৈঠকের পরে প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং তাঁর এক্স হ্যান্ডলে দেশে মোট আটটি উচ্চগতির করিডর তৈরির সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। বলা হয়েছে, মোট ৯৩৬ কিলোমিটার এই সড়কপথের জন্য বরাদ্দ ৫০,৬৫৫ কোটি টাকা।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ অগস্ট ২০২৪ ২২:৩৩
Union Cabinet has approved 4-Lane Kharagpur - Moregram National High-Speed Corridor

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল ছবি।

রাজ্যে উচ্চগতির সড়ক নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। শুক্রবার অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে খড়্গপুর থেকে মোরগ্রাম চার লেনের জাতীয় সড়ক নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে হওয়া বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে ২৩১ কিলোমিটার সড়কপথের জন্য ১০,২৪৭ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হবে।

Advertisement

মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরে প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং তাঁর এক্স (পূর্বতন টুইটার) হ্যান্ডলে দেশে মোট আটটি উচ্চগতির করিডর তৈরির সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। বলা হয়েছে, মোট ৯৩৬ কিলোমিটার এই সড়কপথের জন্য বরাদ্দ ৫০,৬৫৫ কোটি টাকা। এই প্রকল্পগুলির মধ্যে খড়্গপুর-মোরগ্রাম করিডর ছাড়াও রয়েছে আগরা থেকে গোয়ালিয়র ছয় লেনের করিডর, গুজরাতের থারাড়-আমদাবাদ ছয় লেনের করিডর, চার লেনের অযোধ্যা রিং রোড, চার লেনের রায়পুর-রাঁচী করিডর, ছয় লেনের কানপুর রিং রোড, চার লেনের গুয়াহাটি বাইপাস এবং পুণের কাছে আট লেনের নাসিক থেকে খেড় করিডর নির্মাণ করা হবে। এই রাস্তাগুলি তৈরি করতে বিপুল পরিমাণে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর্মসংস্থান তৈরি হবে বলেও দাবি করা হয়েছে। কেন্দ্রের দাবি, মোট ৪.৪২ কোটি শ্রমদিবস তৈরি হবে।

প্রতিটি করিডর নির্মাণের ফলেই সংশ্লিষ্ট পথে যাতায়াতের সময় অর্ধেক হয়ে যাবে বলে দাবি কেন্দ্রের। উল্লেখ করা হয়েছে, খড়্গপুর থেকে মোরগ্রাম করিডরের ফলে পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিরও আর্থিক বিকাশ হবে। এই পথটি সম্পর্কে মন্ত্রিসভায় যে সিদ্ধান্ত হয়েছে তাতে চার লেনের হাই স্পিড করিডরটি হাইব্রিড অ্যানিউটি মোডে তৈরি করা হবে। খড়্গপুর এবং মোরগ্রামের মধ্যে এখন দুই লেনের জাতীয় সড়ক রয়েছে। এর পরে নতুন করিডর তৈরি হলে যান চলাচল পাঁচ গুণ হবে। এখন এই পথ পার হতে নয় থেকে ১০ ঘণ্টা সময় লাগে। কেন্দ্রের দাবি, নতুন করিডর পণ্য পরিবহণের সময় কমিয়ে তিন থেকে পাঁচ ঘণ্টা করে দেবে। ফলে খরচও অনেক কম হবে। দাবি করা হয়েছে, বাংলার সঙ্গে এক দিকে ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়বে। অন্য দিকে উত্তর-পূর্ব ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে যাওয়াও সহজ হবে।

আরও পড়ুন
Advertisement