Regent Park Murder Case

গলা টিপে নাবালিকাকে বস্তায় ভরেন লিভ-ইন সঙ্গী, রিজেন্ট পার্কের রহস্যের কিনারা করল পুলিশ, ধৃত ১

রিজেন্ট পার্কের একটি খাল থেকে নাবালিকার বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। বস্তার মুখ সেলাই করে দিয়েছিলেন অভিযুক্তেরা। অবশেষে সেই রহস্যের কিনারা করল পুলিশ। এক জনকে আটক করা হয়েছে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ অগস্ট ২০২৪ ১৮:৪২

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

গলা টিপে নাবালিকাকে খুনের চেষ্টা করেছিলেন তাঁর প্রেমিক তথা লিভ-ইন সঙ্গী। রিজেন্ট পার্কের খাল থেকে নাবালিকার দেহ উদ্ধারের ঘটনায় যে রহস্য ঘনীভূত হয়েছিল, অবশেষে তার কিনারা করল পুলিশ। এই ঘটনায় এক অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে। তবে এখনও অধরা মৃতের প্রেমিক। তাঁকে খুঁজছে পুলিশ। মূল অভিযুক্তের বন্ধুকে আটক করা হয়েছে। ধৃত নাবালিকা খুনে সাহায্য করেছিল বলে অভিযোগ।

Advertisement

রিজেন্ট পার্কের শান্তিনগর এলাকার খাল থেকে কিছু দিন আগে এক নাবালিকার বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট থেকে জানা যায়, জীবন্ত অবস্থাতেই তাকে জলে ফেলা হয়েছিল। জলে ডুবে তার মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ জানতে পেরেছে, ওই নাবালিকা সরশুনার বাসিন্দা। প্রেমিকের সঙ্গে লিভ-ইন সম্পর্কে থাকত সে। কোনও কারণে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। তার পরেই এই কাণ্ড ঘটান অভিযুক্ত। নাবালিকা মাদকসেবন করত বলেও জানতে পেরেছে পুলিশ। এমনকি, ঘটনার দিনও সে মাদকসেবন করেছিল। তার পর তার গলা টিপে বস্তায় ভরা হয়। পুলিশের অনুমান, নাবালিকাকে মৃত ভেবেই বস্তায় ভরেছিলেন অভিযুক্ত। সাহায্য নিয়েছিলেন এক বন্ধুর।

পুলিশ সূত্রে খবর, রিজেন্ট পার্কের ঘটনার মূল অভিযুক্ত রাহুল মুবারক। তিনি পেশায় ক্যাবচালক। তাঁর সঙ্গেই লিভ-ইনে থাকত নাবালিকা। বাইরে সকলের কাছে তাঁরা স্বামী-স্ত্রী হিসাবেই পরিচয় দিতেন। নাবালিকার হাতে ‘মুবারক’ নামের একটি উল্কিও ছিল। তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, ঘটনার দিন নাবালিকার সঙ্গে তার প্রেমিকের ঝগড়া হয়। তার পর নাবালিকা মাদকসেবন করে। অভিযোগ, রাহুল প্রেমিকাকে একটি গাড়িতে তোলেন। সেখানে তার গলা টিপে ধরেন। এর পর প্রেমিকার মৃত্যু হয়েছে ভেবে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় একটি কারখানায়। গোটা ঘটনায় রাহুলকে সাহায্য করে তাঁর নাবালক বন্ধু।

মাদকসেবনের পর গলা টিপে ধরায় নাবালিকা সংজ্ঞা হারিয়েছিল বলে পুলিশের অনুমান। কারখানায় নিয়ে গিয়ে তাকে বস্তায় ভরে ফেলা হয়। বস্তার মুখ সেলাই করে দেন অভিযুক্ত। তার পর বেশ কিছু ক্ষণ ঘুরে বস্তা ফেলে দেওয়া হয় রিজেন্ট পার্কের খালে।

বৃহস্পতিবার ঠাকুরপুকুর এলাকা থেকে রাহুলের সেই বন্ধুকে আটক করেছে পুলিশ। তার বয়স ১৭। পুলিশকে সে জানিয়েছে, নাবালিকার গলা টিপেছিলেন রাহুলই। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। রাহুলের সন্ধান পেতে মরিয়া পুলিশ। কী নিয়ে রাহুল এবং তাঁর প্রেমিকার ঝামেলা হয়েছিল, কেন এই হত্যা, পুলিশ তা জানার চেষ্টা করছে। একাধিক মহিলার সঙ্গে রাহুলের সম্পর্ক ছিল বলে মনে করা হচ্ছে। তা নিয়েও ঝগড়া হয়ে থাকতে পারে। বিভিন্ন জায়গায় তাঁর খোঁজে তল্লাশি অভিযান চলছে।

আরও পড়ুন
Advertisement