মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। — ফাইল চিত্র।
পঞ্চায়েত ভোটে নির্দল প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন জমা করার বিষয়ে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই সতর্ক করেছিলেন। তার পরেও বেশ কয়েক জন তৃণমূল প্রার্থী টিকিট না পেয়ে নির্দল হিসাবে মনোনয়ন জমা করেছেন। এ বার তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ শুরু করলেন দলীয় নেতৃত্ব। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এখনও পর্যন্ত ৫৬ জনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এমন খবরই প্রকাশিত হয়েছে তৃণমূল মুখপত্র ‘জাগো বাংলা’য়।
দিন চারেক আগে মুর্শিদাবাদে প্রথম নির্দল প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন জমা করা কয়েক জন তৃণমূল কর্মীকে সাসপেন্ড করে দল। তার পর নদিয়ায় ২১ জনকে সাসপেন্ড করা হয়। দক্ষিণ দিনাজপুরেও ১৭ জনকে সাসপেন্ড করেছে দল। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সাসপেনশনের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। অনেক জেলাতেই বেশ কয়েক জন তৃণমূল প্রার্থী নির্দল হিসাবে মনোনয়ন জমা করেছেন। দলের কাছে সেই সব তালিকা আসছে। ক্রমে সেই তালিকা দেখেই সাসপেন্ড করার ইঙ্গিত মিলেছে।
গত এপ্রিলে দিঘার একটি কর্মিসভায় দলনেত্রী মমতা আশ্বাস দিয়েছিলেন, যাঁরা টিকিট পাবেন না, তাঁদের ‘অ্যাকোমোডেট’ করা হবে। তাঁর কথায়, ‘‘পঞ্চায়েতে সৎ মানুষ চাই, দক্ষ মানুষ চাই, ভাল মানুষ চাই। কেউ হয়তো টিকিট পাবেন। একটা পার্টির এক জনই টিকিট পায়। যিনি পাননি, বিজেপির কথায় নির্দল হয়ে দাঁড়িয়ে যাবেন না। তাঁকে অন্য ভাবে আমরা অ্যাকোমোডেট করব। এটা পার্টির দায়িত্ব।’’ ‘জন সংযোগ যাত্রা’য় গিয়ে জেলায় জেলায় অভিষেকও এই বার্তাই দিয়েছিলেন। তার পরেও বিভিন্ন জেলায় তৃণমূল কর্মীরা নির্দল হিসাবে মনোনয়ন দিয়েছেন। তার পরেই পদক্ষেপ শুরু করল তৃণমূল।
দলের টিকিট না পেয়ে পঞ্চায়েত সমিতিতে নির্দল প্রার্থী হিসাবে দাঁড়িয়েছেন বাঁকুড়ায় তৃণমূলের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক প্রবীর ঘোষ। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত মুর্শিদাবাদের বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার স্ত্রীও নির্দল প্রার্থী হিসাবে পঞ্চায়েতে দাঁড়িয়েছেন। এ রকম সংখ্যা নেহাত কম নয়। এ বার তাঁদের বিরুদ্ধেই পদক্ষেপ করা শুরু করল তৃণমূল।