Gangasagar Mela 2025

মঙ্গলে পুণ্যস্নান গঙ্গাসাগরে, প্রস্তুতি সারা সাগরদ্বীপে, রবিতেই দায়িত্ব নিয়ে সাগরসঙ্গমে মন্ত্রীরা

গঙ্গাসাগর মেলা আয়োজনের সিংহভাগ দায়িত্ব থাকে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের হাতে। তাই রবিবারই গঙ্গাসাগর পৌঁছে গিয়েছেন মন্ত্রী পুলক রায়। তাঁর সঙ্গেই জেলা পরিষদের সভাধিপতি, কর্মাধ্যক্ষেরাও পৌঁছে গিয়েছেন সাগরে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০২৫ ১৯:৫৫
সাগরে স্নানের পর কপিলমুনির আশ্রমে পুজো দেবেন পুণ্যার্থীরা।

সাগরে স্নানের পর কপিলমুনির আশ্রমে পুজো দেবেন পুণ্যার্থীরা। ফাইল ছবি।

মঙ্গলবার গঙ্গাসাগরে মকর সংক্রান্তির পুণ্যস্নান। রবিবার থেকেই দেশের নানা প্রান্ত থেকে সাগরদ্বীপে ভিড় জমাতে শুরু করেছেন তীর্থযাত্রীরা। সাগরতটে ব্যস্ততা বাড়তেই একে একে রাজ্য সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীরা রবিবার থেকেই গঙ্গাসাগরমুখী। সম্প্রতি নবান্নে গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি সংক্রান্ত এক বৈঠকে মন্ত্রীদের দায়িত্ব বণ্টন করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার থেকে তীর্থযাত্রীরা গঙ্গাসাগরে ভিড় বাড়াতেই মমতার মন্ত্রীরাও পৌঁছে গিয়েছেন মেলার দায়িত্ব নিতে। গঙ্গাসাগর মেলা আয়োজনের সিংহভাগ দায়িত্ব থাকে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের হাতে। তাই রবিবারই গঙ্গাসাগর পৌঁছে গিয়েছেন মন্ত্রী পুলক রায়। তাঁর সঙ্গেই জেলা পরিষদের সভাধিপতি, কর্মাধ্যক্ষেরাও পৌঁছে গিয়েছেন সাগরে।

Advertisement

কলকাতায় গঙ্গাসাগর যাত্রীদের জন্য তৈরি অস্থায়ী শিবির তৈরি হয়েছে বাবুঘাটে। সেখানে দায়িত্বে ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ এবং মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার। কাকদ্বীপের লট-৮ নদীঘাটের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, পরিবহণ প্রতিমন্ত্রী দিলীপ মণ্ডল, কাকদ্বীপের বিধায়ক মন্টুরাম পাখিরা, জেলা পরিষদের সভাধিপতি নীলিমা মিস্ত্রি, কুলপির বিধায়ক যোগরঞ্জন হালদার এবং মথুরাপুরের সাংসদ বাপি হালদারকে। সাগরদ্বীপের প্রবেশপথ কচুবেড়িয়াতে থাকবেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু, সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া, প্রাক্তন সাংসদ মণীশ গুপ্ত, বিধায়ক গিয়াসউদ্দিন মোল্লা। আর মেলাপ্রাঙ্গণের ঘাটের দায়িত্বে রাখা হয়েছে বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা, পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী এবং প্রাক্তন সাংসদ শুভাশিস চক্রবর্তীকে। শুধু মন্ত্রী, বিধায়কেরাই নন, ১০-১২ জন সচিবও দায়িত্বে থাকবেন। রবিবার থেকেই মন্ত্রী-বিধায়কেরা দায়িত্ব বুঝে নিতে শুরু করেছেন।

মেলার সময় পর্যাপ্ত চিকিৎসক, এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স, ওয়াটার অ্যাম্বুল্যান্স এবং প্যারামেডিক্যাল কর্মীর বন্দোবস্ত থাকবে। বাংলা, হিন্দি, ওড়িয়া, ইংরেজি, তামিল, তেলুগু, মরাঠি ভাষায় ঘোষণার ব্যবস্থাও থাকবে মেলাপ্রাঙ্গণে। সরকারি, বেসরকারি মিলিয়ে দু’হাজারের বেশি বাস থাকবে রাস্তায়। জলপথে ১০০টি লঞ্চ, ৩২টি ভেসেল, ন’টি বার্জ থাকবে। ১২টি জেটি তৈরি করা হয়েছে বিভিন্ন জায়গায়।

Advertisement
আরও পড়ুন