Suvendu Adhikari

Suvendu Adhikari: আগে টিকা, পরে ভোট নীতি শোনালেন শুভেন্দু, লকডাউন দীর্ঘজীবী হোক, চাইছে বিজেপি

ভোটের পর থেকেই রাজ্যে লকডাউন জারি হয়েছিল। এখনও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। বিজেপি প্রথম থেকেই ‘রাজনৈতিক লকডাউন’ অভিযোগ তুলে সরব হয়।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ জুলাই ২০২১ ১৮:২১
শুভেন্দু অধিকারী।

শুভেন্দু অধিকারী। —ফাইল চিত্র।

রাজ্যে সব মানুষের টিকাকরণ না হওয়া পর্যন্ত উপনির্বাচনের দাবি তোলা ঠিক নয়। শুক্রবার বলেই দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। অর্থাৎ, আপাতত ভবানীপুর-সহ রাজ্যে সাতটি কেন্দ্রে উপনির্বাচন চাইছে না বিজেপি। অর্থাৎ, আগামী ৫ নভেম্বরের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভবানীপুর থেকে নির্বাচিত হয়ে আসার যে প্রক্রিয়া, তা আপাতত বন্ধ থাকুক বলেই চাইছে রাজ্যের প্রধান বিরোধীদল। বস্তুত, তারা বরং আরও লকডাউনের পক্ষে।

শুভেন্দু শুক্রবার বলেন, “বিধানসভা নির্বাচন চলার সময়‌ তৃণমূল বলেছে, বিজেপি নেতানেত্রী আর আধা সামরিক বাহিনীর জওয়ানরা এসে নাকি করোনা ছড়িয়ে গিয়েছেন! তাই এখন রাজ্যে টিকাকরণ সম্পূর্ণ হলে তবেই উপনির্বাচনের দাবি করা উচিত তৃণমূলের।’’ সে ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী মমতার ভোটযুদ্ধের কী হবে? যা নিয়ে সরব হয়েছে তৃণমূল। সক্রিয় হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা নিজেও। কারণ, শপথগ্রহণের ছ’মাসের মধ্যে বিধঘানসভায় নির্বাচিত না-হলে তাঁকে মুখ্যমন্ত্রিত্বে ইস্তফা দিতে হবে। সেই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে শুভেন্দু বলেন, ‘‘ওঁদের অনেকে বিধায়ক আছেন। তাঁদের মধ্য থেকেই কাউকে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে বেছে নেওয়া হোক।’’

Advertisement

ভোটের ফল ঘোষণার পর থেকেই রাজ্যে লকডাউন পরিস্থিতি জারি হয়েছিল। এখন বিধি নিষেধ কিছুটা শিথিল হলেও পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক হয়নি। এ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব প্রথম থেকেই ‘রাজনৈতিক লকডাউন’-এর অভিযোগ তুলে সরব। দলের পক্ষে এমনও বলা হয় যে, বিজেপি যাতে কোনও রকম আন্দোলন করতে না পারে, তার জন্যই লকডাউন পরিস্থিতি চালিয়ে যাচ্ছে রাজ্য সরকার। সেই কারণে রেল চাইলেও লোকাল ট্রেন চালাতে দেওয়া হচ্ছে না। কিন্তু ঘটনাচক্রে, এখন বিজেপি-ও চাইছে রাজ্যে লকডাউন পরিস্থিতি আরও দীর্ঘ সময় চলুক। এক রাজ্য নেতার কথায়, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী উপনির্বাচন চাইছেন। অথচ লোকাল ট্রেন চালাতে দিচ্ছেন না! তৃণমূলের মনে রাখা উচিত, লকডাউন পরিস্থিতি জিইয়ে রেখে তৃণমূল যদি বিজেপি-র আন্দোলনে বাধা দিতে চায়, তা হলে উপনির্বাচন পিছিয়ে যাওয়াও আটকানো যাবে না। রাজ্য সরকারের নীতিই বলে দিচ্ছে, রাজ্যে এখন ভোটগ্রহণের পরিস্থিতি নেই।’’ অর্থাৎ, আগে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়া। তার পরে ভোট। যে সুর শুক্রবার শোনা গিয়েছিল শুভেন্দুর গলায়।

প্রসঙ্গত, মুকুল রায়ের বিধায়কপদ খারিজ নিয়ে বিধানসভার স্পিকারের কাছে শুভেন্দু যে আবেদন জানিয়েছেন, তার দ্বিতীয় শুনানি ছিল শুক্রবার। সেই শুনানিতে অংশ নেওয়ার পর বিধানসভা থেকে বেরিয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘‘কিছুদিন আগে উত্তরাখণ্ডে বিজেপি অ-বিধায়ক মুখ্যমন্ত্রীকে সরিয়ে একজন বিধায়ককে মুখ্যমন্ত্রী করেছে। বিধানসভা ভোটের সময় মাদ্রাজ হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ নিয়ে তৃণমূল বেশি উৎসাহিত হয়েছিল। বলেছিল, বহিরাগত বিজেপি-র নেতা আর আধা সামরিক বাহিনী করোনা ছড়িয়ে গিয়েছে! তা হলে তো ওদেরই উচিত সম্পূর্ণ টিকাকরণের পরে ভোট করানো।’’

আরও পড়ুন
Advertisement