R G Kar Hospital Incident

ছাত্র সমাজের আন্দোলনে সমর্থন নেই, বাংলা বন্‌ধেও সায় নেই, বিচার চেয়ে বুধে পৃথক মিছিলে আরজি কর

সংগঠনের সদস্যদের দাবি, ন্যায়বিচার তাঁরাও চান। কিন্তু শান্তিপূর্ণ পথে। সহযোগিতার মাধ্যমে। পুলিশের সঙ্গে সংঘাত বা হিংসাত্মক প্রতিবাদ নয়, তাঁদের আশা শান্তিপূর্ণ পথেই মিলবে সেই ন্যায়বিচার।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ অগস্ট ২০২৪ ২২:৫৭
Representative Image

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার দোষীদের তাঁরা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান। চান আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক, জুনিয়র চিকিৎসক এবং পড়ুয়াদের নিরাপত্তা। কিন্তু তার জন্য কোনও হিংসাত্মক আন্দোলনে সায় নেই আরজি করের পড়ুয়া ও জুনিয়র চিকিৎসকেদের।

Advertisement

আরজি কর-কাণ্ডের ন্যায়বিচার এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইস্তফার দাবিতে ‘পশ্চিমবঙ্গের ছাত্র সমাজ’-এর নবান্ন অভিযান ঘিরে মঙ্গলবার তুলকালাম ঘটেছে কলকাতা এবং হাওড়ার বিভিন্ন এলাকায়। জায়গায় জায়গায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বেধেছে আন্দোলনকারীদের। বিক্ষুব্ধদের ঠেকাতে চলছে লাঠি থেকে কাঁদানে গ্যাস, জলকামান। ‘পুলিশি দমনপীড়নে’র প্রতিবাদে বুধবার বাংলা বন্‌ধের ডাক দিয়েছে বিজেপি। কিন্তু আরজি কর-সহ রাজ্যের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকদের নিয়ে গঠিত ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফোরাম’ (ডব্লিউবিজেডিএফ) তাতে সমর্থন জানায়নি।

সংগঠনের সদস্যদের দাবি, ন্যায়বিচার তাঁরাও চান। কিন্তু শান্তিপূর্ণ পথে। সহযোগিতার মাধ্যমে। পুলিশের সঙ্গে সংঘাত বা হিংসাত্মক প্রতিবাদ নয়, তাঁদের আশা শান্তিপূর্ণ পথেই মিলবে সেই ন্যায়বিচার। আরজি করের আন্দোলনকারী এক জুনিয়র চিকিৎসক মঙ্গলবার বলেন, ‘‘ডব্লিউবিজেডিএফের তরফে বিচারের চেয়ে বুধবার পৃথক কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছে।’’ শ্যামবাজার থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত আমরা শান্তিপূর্ণ ভাবে মিছিল করে ন্যায়বিচারের দাবি জানাব। তিনি জানান, ইতিমধ্যেই আরজি করের সুরক্ষায় সিআইএসএফ মোতায়েন হয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর নির্দেশে হাসপাতাল চত্বরে কোনও জমায়েত এমনকি, কনভেনশনের আয়োজনও নিষিদ্ধ হয়েছে। তাই নির্যাতিতার ন্যায়বিচারের দাবিতে আয়োজিত কনভেনশন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করেছেন তাঁরা।

গত ২১ অগস্ট সিজিও কমপ্লেক্স থেকে স্বাস্থ্য ভবন অভিযান করেছিলেন আরজি করের আন্দোলনকারী চিকিৎসকেরা। তাঁদের প্রতিনিধিদল স্বাস্থ্য ভবনে গিয়ে স্মারকলিপিও জমা দিয়েছিল। সেই প্রসঙ্গের উল্লেখ করে এক জুনিয়র ডাক্তার বলেন, ‘‘সে দিনও আমরা শান্তিপূর্ণ ভাবেই আমাদের কর্মসূচি পালন করেছিলাম। নিজেদের দাবির কথা স্বাস্থ্য ভবনের কর্তাদের জানিয়েছিলাম। কোনও অশান্তি হয়নি। তা ছাড়া, আমাদের দাবি শুধু ন্যায়বিচার এবং নিরাপত্তার। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কোনও আন্দোলনের প্রতি আমাদের সমর্থন নেই। ভবিষ্যতেও থাকবে না।’’ যদিও আরজি করের ধর্ষিতা এবং নিহত চিকিৎসকের বাবা-মা মঙ্গলবার দুপুরেই কার্যত ছাত্র সমাজের আন্দোলনের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করে জানিয়েছেন, বিচারের দাবিতে এই আন্দোলন যেন চলতেই থাকে। তাঁদের আশঙ্কা, প্রতিবাদ থেমে গেলে বিচারপ্রক্রিয়া শ্লথ হয়ে যেতে পারে।

আরও পড়ুন
Advertisement