Ritabrata Banerjee

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে ফের রাজ্যসভায় যাচ্ছেন ঋতব্রত, শুক্রে হাতে পেয়ে গেলেন শংসাপত্রও

আরজি কর পর্বের সময়ে তৃণমূল তথা রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন প্রাক্তন আমলা জহর সরকার। জহরের ইস্তফার কারণে ফাঁকা হওয়া আসনে তৃণমূল প্রার্থী করেছিল ঋতব্রতকে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ২১:০৫
Ritabrata Banerjee won the Rajya Sabha by-election uncontested and received the certificate

শুক্রবার বিধানসভায় নির্মল ঘোষ এবং অরূপ বিশ্বাসের সঙ্গে শংসাপত্র হাতে ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: সংগৃহীত।

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করে ফের রাজ্যসভায় যাচ্ছেন ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার বিধানসভায় গিয়ে শংসাপত্র নিলেন তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএসটিটিইউসির সভাপতি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, বিধানসভায় তৃণমূলের মুখ্যসচেতক নির্মল ঘোষ।

Advertisement

শংসাপত্র পাওয়ার মুহূর্তের একাধিক ছবি নিজের এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডল পোস্ট করে ঋতব্রত উরুগুয়ের লেখক ও সাংবাদিক এডুয়ার্ডো গ্যালেআনোর লাইন উদ্ধৃত করে লিখেছেন, ‘ইতিহাস কখনও বিদায় বলে না। বলে, পরে দেখা হবে’। ২০১৪ সালে ঋতব্রতকে রাজ্যসভায় পাঠিয়েছিল সিপিএম। কিন্তু নানাবিধ অভিযোগে তাঁকে ২০১৭ সালে দল থেকে বহিষ্কার করে আলিমুদ্দিন স্ট্রিট। তার পর থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত রাজ্যসভায় দলহীন সাংসদ হয়েই থাকতে হয়েছিল তাঁকে। ২০২০ সালে রাজ্যসভায় সাংসদ হিসাবে মেয়াদ শেষের পরে ঋতব্রত যোগ দেন তৃণমূলে। এ বার তিনি তৃণমূলের টিকিটে রাজ্যসভায় যাচ্ছেন। ফলে, কোন প্রেক্ষাপটে গ্যালেআনোর লাইন উদ্ধৃত করেছেন ঋতব্রত, তা স্পষ্ট।

আরজি কর পর্বের সময়ে তৃণমূল তথা রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন প্রাক্তন আমলা জহর সরকার। জহরের ইস্তফার কারণে ফাঁকা হওয়া আসনে গত সোমবার তৃণমূলের তরফে গত সপ্তাহের শনিবার ঋতব্রতের নাম ঘোষণা হয়েছিল। গত সোমবার বিধানসভায় গিয়ে মনোনয়ন দাখিল করেছিলেন তিনি। সে দিন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিধানসভাতেই দেখা করেছিলেন আইএনটিটিইউসি সভাপতি। শুক্রবার শংসাপত্র নিলেন তিনি।

রাজ্যসভায় সিপিএম এবং পরবর্তী সময়ে দলহীন সাংসদ থাকাকালীন ঋতব্রতের বক্তৃতা প্রশংসিত হত প্রায় সব মহলে। বাগ্মী তরুণ নেতা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বক্তৃতা করতেন সংসদের উচ্চকক্ষে। সে সব বক্তৃতায় থাকত নিবিড় পড়াশোনার ছাপ। তৃণমূলের সাংগঠনিক দায়িত্ব পাওয়ার পরে মুখ বুজে কাজ করে গিয়েছেন তিনি। ঋতব্রতের নাম রাজ্যসভার প্রার্থী হিসাবে ঘোষণার পরে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছিলেন, ‘‘কঠোর পরিশ্রমের স্বীকৃতি মিলবেই।’’ ঋতব্রতের মনোনয়নে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে এক্স পোস্ট করেছিলেন আইপ্যাক কর্তা প্রতীক জৈনও। সেই ঋতব্রত শুক্রবার ফের রাজ্যসভায় যাওয়ার শংসাপত্র পেয়ে গেলেন।

Advertisement
আরও পড়ুন