অল্লু অর্জুন। ছবি: সংগৃহীত।
হায়দরাবাদে ‘পুষ্পা ২’ ছবির প্রিমিয়ারে পদপিষ্ট হয়ে মহিলার মৃত্যুর ঘটনায় শুক্রবার গ্রেফতার করা হয় অভিনেতা অল্লু অর্জুনকে। তাঁর ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় নিম্ন আদালত। গ্রেফতারি এবং এফআইআরকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তেলঙ্গানা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন তারকা। অভিনেতার মামলার শুনানি চলাকালীন আদালতের বাইরে তাঁকে দেখার জন্য উপচে পড়ে ভিড়। অবশ্য ইতিমধ্যেই অন্তর্বতীকালীন জামিন পেয়েছেন অভিনেতা। ৫০ হাজার টাকার বন্ডে তাঁর অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে। তেলঙ্গানা হাই কোর্টের বিচারপতি জে শ্রীদেবীর বেঞ্চে অল্লুর মামলাটি শোনা হয়েছে।
এর পরসই মুখ খুললেন অল্লুর আইনজীবী। তাঁর গ্রেফতারির ঘটনাকে রং চড়ানো হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। অভিনেতার টিমের তরফে জানানো হয়েছে, তাঁকে আটক করা হয়েছিল শুধু, গ্রেফতার করা হয়নি।
খবর, পুলিশের বিরুদ্ধে তাঁর ব্যক্তিগত পরিসরে ঢুকে পড়ার অভিযোগ করেন অল্লু। পুলিশ জানিয়েছে, অভিনেতার সমস্ত অনুরোধকে তারা সম্মান করেছে। কিন্তু অভিনেতা পাল্টা বলেন, ‘‘আপনারা আমার অনুরোধকে সম্মান করেননি। আমি আপনাদের বলেছিলাম, আমি পোশাক পরিবর্তন করতে চাই। তার জন্য আমার সঙ্গে এক জনকে পাঠাতেও বলেছিলাম। আপনারা আমাকে নিয়ে এসেছেন, এটা ভুল নয়। কিন্তু আমার বেডরুমে ঢুকে পড়াটা বাড়াবাড়ি। এটা ঠিক নয়।’’ প্রায় একই কথা অল্লুর আইনজীবী নিরঞ্জন রেড্ডির কণ্ঠেও। তিনি বলেন, ‘‘ওঁর গ্রেফতারির ঘটনাটা বাড়াবাড়ি। অল্লুর কারণেই ওই মহিলার মৃত্যু ঘটেছে, এমনটা বলা যায় না। ইচ্ছাকৃত ভাবে তিনি ঘটনাটা ঘটাননি। সুতরাং আদালত তাঁকে জামিন দিতেই পারে।’’
গত ৪ ডিসেম্বর হায়দরাবাদের সন্ধ্যা থিয়েটারে ‘পুষ্পা ২’-এর প্রিমিয়ারে পদপিষ্ট হয়ে এক মহিলার মৃত্যু হয়েছিল। সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে এফআইআর দায়ের করেছিল হায়দরাবাদ পুলিশ। অল্লুকে শুক্রবার সকালে তাঁর বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। অল্লু-সহ মোট সাত জনের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছিল। শুক্রবার অভিনেতার পাশাপাশি আরও দু’জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সন্ধ্যা থিয়েটারের মালিকও। বাকি অভিযুক্তদেরও অন্তর্বর্তী জামিন দিয়েছে হাই কোর্ট। হল মালিকের পক্ষের আইনজীবী করম কোমিরেড্ডি জানান, এখানে যে অপরাধের কথা বলা হয়েছে তাতে অভিযুক্তের কোনও ধরনের অভিসন্ধি ছিল না। যদিও এই প্রসঙ্গে সরকার পক্ষের আইনজীবী অভিনেতার ও হল মালিকের আইনজীবীর তত্ত্ব মানতে অস্বীকার করেছেন। তাঁর কথায়, "অভিনেতা আগে থেকেই জানতেন ওই জায়গায় গেলে এমন দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভবনা রয়েছে।’’ যদিও বিচারক সরকার পক্ষের আইনজীবীর তত্ত্ব খারিজ করে দেন বরং একজন অভিনেতা হিসেবে তিনি সেখানে যেতেই পারেন— সেই তত্ত্বেই জোর দেন। শেষমেশ গোটা দিনের টানটান উত্তেজনার পর স্বস্তি পেলেন অল্লু।