অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ নেতা ও পুরসভার কর্মীর বাড়িতে সিবিআই। নিজস্ব চিত্র।
আবার বোলপুরে হানা দিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (সিবিআই)। এ বার বীরভূম তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল-ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলর বিশ্বজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায় ওরফে মুনের বাড়িতে গিয়ে তাঁকে আটক করে নিয়ে গেলেন সিবিআই আধিকারিকরা। এলাকায় মুন তথা অনুব্রতের (কেষ্ট) ছায়াসঙ্গী হিসাবে পরিচিত। তৃণমূল নেতার বিভিন্ন কাজের দেখাশোনার দায়িত্বে ছিলেন এই কাউন্সিলর। তাঁকে অনুব্রতের বাড়িতেও যে কোনও সময় দেখা যেত। এ বারেই কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন বিশ্বজ্যোতি।
অন্য দিকে, কাউন্সিলরের বাড়ির পাশাপাশি সুদীপ রায় বলে আর এক অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ ব্যক্তির বাড়িতেও গিয়েছে সিবিআই। যদিও তাঁর পরিচয় এখনও সঠিক ভাবে পাওয়া যায়নি। সূত্রের খবর, তিনি বোলপুর পুরসভার কর্মী। এখানেই শেষ নয়,অনুব্রতের চাটার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট মণীশ কোঠারির বাড়িতেও সিবিআই আধিকারিকরা গিয়েছেন বলে খবর। সূত্রের খবর, তৃণমূল নেতার ঘনিষ্ঠ আরও বেশ কয়েকটি বাড়িতে যাচ্ছেন তদন্তকারীরা। এর মধ্যে রয়েছেন সুজিত দে নামে এক ব্যবসায়ীও।
মঙ্গলবার আসানসোলে জেলবন্দি অনুব্রতকে জেরা করেছেন সিবিআই আধিকারিকরা। গরু পাচার-কাণ্ডের তদন্তে নেমে অনুব্রতের মেয়ে এবং তাঁর ঘনিষ্ঠদের নামে একাধিক সম্পত্তির খোঁজ পেয়েছে ওই তদন্তকারী সংস্থা। ওই সব সম্পত্তির উৎস জানতে চান সিবিআই আধিকারিকরা। সংশোধনাগারে সিবিআইয়ের প্রশ্নের মুখে পড়েন অনুব্রতের প্রাক্তন দেহরক্ষী সহগল হোসেনও। তার পর দিনই নেতার ঘনিষ্ঠদের বাড়িতে ‘অভিযান’-এ গেলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা।