(বাঁ দিকে) তেজস্বী যাদব। ওমর আবদুল্লা (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
অস্তিত্ব নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছিল আগেই। দিল্লির বিধানসভা ভোটের আগে আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদের পুত্র তথা বিহারের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব বিজেপি বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র প্রাসঙ্গিকতা সম্পর্কেই প্রশ্ন তুলে দিলেন।
লোকসভা ভোটে দিল্লিতে জোট বেঁধে লড়লেও বিধানসভায় অরবিন্দ কেজরীওয়ালের আম আদমি পার্টি (আপ) এবং কংগ্রেস আলাদা ভাবে লড়ছে। প্রকাশ্যে দু’দলের তরজা চলছে। তৃণমূল, সমাজবাদী পার্টি, উদ্ধবসেনার মতো ‘ইন্ডিয়া’র সহযোগী দল আপ-কে সমর্থন জানানোয় জোটের অন্দরে কোণঠাসা হয়ে পড়েছে কংগ্রেস!
এই পরিস্থিতিতে দিল্লির ভোটে আপ-কংগ্রেস লড়াই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তেজস্বী বলেন, ‘‘এর মধ্যে অস্বাভাবিক কিছু নেই। ‘ইন্ডিয়া’ তৈরি হয়েছিল ২০২৪-এর লোকসভা ভোটে বিজেপিকে হারানোর জন্য।’’ চলতি বছরেই বিহারের বিধানসভা ভোট হওয়ার কথা। তার আগে তেজস্বীর এই মন্তব্য ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে মনে করছেন বিরোধী নেতাদের একাংশ। জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী তথা ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লা বলেন, ‘‘আমার যত দূর মনে পড়ছে, ‘ইন্ডিয়া’র কোনও পূর্বনির্ধারিত সময়সীমা নেই। তবে বেশ কিছু দিন জোটের কোনও বৈঠক হয়নি। তাই হয়তো অস্তিত্ব সম্পর্কে ধন্দ তৈরি হয়েছে।’’
দিল্লির বিধানসভা ভোটে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল এবং উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশের সমাজবাদী পার্টি (এসপি) ইতিমধ্যেই আপকে সমর্থন করেছে। লোকসভার সাংসদ সংখ্যার হিসাবে এসপি ‘ইন্ডিয়া’র দ্বিতীয় বৃহত্তম শরিক। তৃণমূল তৃতীয় বৃহত্তম। মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনা (ইউবিটি)-ও আনুষ্ঠানিক ভাবে কেজরীর দলকে সমর্থনের কথা ঘোষণা করতে চলেছে বলে দলের একটি সূত্র জানাচ্ছে। জম্মু ও কাশ্মীরের কংগ্রেসে প্রত্যক্ষ সহযোগী ওমর অবশ্য বলেন, ‘‘দিল্লির ভোট নিয়ে আমাদের কিছুই করার নেই। কী ভাবে বিজেপিকে হারানো সম্ভব, সে বিষয়ে আপ, কংগ্রেস এবং জোটের সংশ্লিষ্ট অন্য দলগুলিকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’’