তৃণমূলে যোগ দিয়ে কংগ্রেস প্রার্থী পূর্ণিমা দাস। —নিজস্ব চিত্র।
পঞ্চায়েত নির্বাচনে জয়ী হয়েও প্রধান কে হবেন, তা নিয়ে চাপানউতর চলছিল তৃণমূলের মধ্যে। অবশেষে কংগ্রেস থেকে জয়ী মহিলা প্রার্থীকে যোগদান করিয়ে প্রধান-সমস্যা দূর করল শাসকদল। মঙ্গলবার এমনই ঘটনা ঘটল বীরভূমের সিউড়ির আলুন্দা গ্রাম পঞ্চায়েতের।
আলুন্দা গ্রাম পঞ্চায়েতে পঞ্চায়েতের মোট আসন সংখ্যা ১৭টি। সেখানে এ বারের পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূল জয়ী হয় নয়টি আসনে। কংগ্রেস এবং সিপিএম দু’টি করে আসন পায়। বিজেপি জয়লাভ করে তিনটি আসনে। বাকি একটি আসনে জয়ী হন নির্দল প্রার্থী। হিসাব মতো তৃণমূল বোর্ড গঠন করে পঞ্চায়েত প্রধান নির্ণয় করার অবস্থায় থাকলেও, সেটিই কার্যত অসম্ভব হয়ে উঠেছিল তাদের পক্ষে। কারণ, ওই পঞ্চায়েত আসনটি তফসিলি মহিলা সংরক্ষিত আসন। তাই ভোটে জিতেও প্রধান কে হবেন ঠিক করতে পারেনি শাসকদল। কারণ, তাঁদের এমন কোনও প্রার্থী জয়ী হননি। ফলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেও পঞ্চায়েত প্রধান কী ভাবে ঠিক করবে শাসকদল। সেই সমস্যা পূরণ হয়েই গেল মঙ্গলবার। কারণ, কংগ্রেসের টিকিটে জয়ী পূর্ণিমা দাস যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে।
কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে যোগদানের কারণ বলতে গিয়ে বলেন, ‘‘দিদির উন্নয়নে শরিক হব। কংগ্রেসকে ভাল লাগত তাই করতাম। তবে আজ তৃণমূলে যোগদান করলাম।’’ তিনি জানান, কেউ তাঁকে জোর করেননি। তিনি নিজের ইচ্ছায় তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। যদিও তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, পূর্ণিমাই যে প্রধান হবেন, তা ঠিক হয়নি। বিরোধী গোষ্ঠীর অনেকে যাঁরা পঞ্চায়েত ভোটে জয়ী হয়েছেন, তাঁরাও তৃণমূলে আসতে চাইছেন। এবং তাঁরা এ ব্যাপারে সিদ্ধান্তও নিচ্ছেন। আর প্রধান কে হবেন, এ নিয়ে তাঁরা চিন্তা করছেন না।