(বাঁ দিকে) পর্ণা ঘোষ। অনুব্রত মণ্ডল (ডান দিকে) —গ্রাফিক শৌভিক দেবনাথ।
গরু পাচার মামলায় তিহাড় জেলে বন্দি রয়েছেন বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি। সেই মামলার তদন্ত সূত্রে এ বার ইডি তলব করল বোলপুর পুরসভার চেয়ারম্যান পর্ণা ঘোষ ও তাঁর স্বামী সুদীপ্ত ঘোষকে। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ৪ অগস্ট দিল্লিতে কেন্দ্রীয় সংস্থার সদর দফতরে ডেকে পাঠানো হয়েছে তাঁদের। বোলপুর পুরসভার অন্য এক তৃণমূল কাউন্সিলর এবং ‘অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ’ এক ব্যবসায়ীকেও দিল্লিতে তলব করা হয়েছে বলে ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে।
আনন্দবাজার অনলাইনের তরফে পর্ণাকে একাধিক বার ফোন করা হলেও তিনি তা ধরেননি। জবাব দেননি হোয়াট্সঅ্যাপ মেসেজেরও। পর্ণা-সহ বাকিদের ইডি তলব প্রসঙ্গে রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী তথা বীরভূম জেলা তৃণমূলের অন্যতম মুখপাত্র চন্দ্রনাথ সিংহ বলেন, ‘‘আমি জানি না হঠাৎ কেন তলব করা হল। তবে এ সব করে দলের মনোবল ভাঙা যাবে না।’’ পর্ণা-সহ বাকিরা দিল্লিতে হাজিরা দিতে যাবেন কি না, সে ব্যাপারেও স্পষ্ট করে কিছু বলেননি মন্ত্রী চন্দ্রনাথ।
জেলার রাজনীতিতে পর্ণা ‘কেষ্ট-ঘনিষ্ঠ’ বলেই পরিচিত। এর আগে জানা গিয়েছিল, ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়া অনুব্রতের হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারির সঙ্গেও পর্ণার ‘নিবিড় যোগ’ ছিল। মণীশের একাধিক সম্পত্তিতেও পর্ণার যোগ ছিল বলে ইডি সূত্রে খবর। ২০২১ সালে পুরসভার মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ার পর প্রশাসক নিয়োগ করেছিল রাজ্য সরকার। সেই সময়ে পর্ণাকে বসানো হয়েছিল বোলপুর পুরসভার প্রশাসক পদে। তার পর ২০২২ সালের ভোটে তাঁকেই চেয়ারম্যন করে তৃণমূল। জেলার রাজনীতির খোঁজখবর রাখা অনেকে বলেন, কেষ্টর ‘ঘনিষ্ঠ’ বৃত্তের নেতা বলেই পর্ণার স্বামী সুদীপ্তের পরিচিতি।