প্রশান্ত কিশোর। —ফাইল চিত্র।
বিহারে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের ‘কম্বাইন্ড কম্পিটিটিভ’ পরীক্ষা (বিপিএসসি) এ বার পুরোপুরি বাতিলের দাবি তুলে পটনা হাই কোর্টে মামলা করল প্রশান্ত কিশোরের (পিকে) রাজনৈতিক দল জন সূরজ পার্টি। শুক্রবার দলের আইনজীবী প্রণব কুমার জানান, ১৩ ডিসেম্বর বিপিএসসি পরীক্ষায় ‘অনিয়ম’ হয়েছে। সেই পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে বিচারপতি অরবিন্দ সিংহ চন্দেলের বেঞ্চে মামলা করার আবেদন করা হয়। সেই আবেদন মঞ্জুর হয়েছে। আগামী ১৫ জানুয়ারি বিপিএসসি মামলার শুনানি রয়েছে পটনা হাই কোর্টে।
বিপিএসসি পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস-সহ একাধিক অভিযোগ তুলে প্রথম থেকেই পথে নেমেছে প্রাক্তন ভোটকুশলী পিকে-র দল। এ বার পুরো পরীক্ষা বাতিলের দাবিতেই মামলা করল তারা। তাদের আইনজীবীর কথায়, ‘‘বিপিএসসি পরীক্ষায় বড় রকমের অনিয়ম হয়েছে। পরীক্ষাকেন্দ্রে কোনও জ্যামার লাগানো ছিল না। ফলে কেন্দ্রের ভেতরে অনেকেই মোবাইল নিয়ে প্রবেশ করেন।’’ এ ছাড়াও, প্রশ্নপত্র ফাঁসও হয়েছে বলে অভিযোগ জন সূরজ পার্টির।
প্রসঙ্গত, বিপিএসসি পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগকে কেন্দ্র করে দীর্ঘ দিন ধরেই অশান্তি চলছে পশ্চিমবঙ্গের পড়শি রাজ্যটিতে। চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ আন্দোলনে নেমেছেন। সেই আন্দোলনে প্রথম থেকেই রয়েছেন পিকে। যদিও প্রতিবাদী চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ এই আন্দোলনে রাজনীতির প্রবেশ পছন্দ করছেন না বলে জানিয়েছেন। গত রবিবার পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে গান্ধী ময়দানে জমায়েত করেছিলেন হাজার হাজার চাকরিপ্রার্থী। পিকে-ও সেখানে ছিলেন। রাতে সেই জমায়েত মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের বাড়ির দিকে এগোতে শুরু করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। পিকের বিরুদ্ধে এফআইআরও হয়। তার পর তিনি অনশনে বসেছিলেন। কিন্তু তাঁকে সোমবার ভোরের আলো ফোটার আগেই সেখান থেকে তুলে যায় পুলিশ। পরে বিচারক পিকে-কে বিনা শর্তে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দেন। কিন্তু গভীর রাতে আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
বিহার সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগের সত্যতা মেলায় গত ৪ জানুয়ারি পাটনার ২২টি কেন্দ্রে নতুন করে বিপিএসসির পরীক্ষা হয়েছে। ফের পরীক্ষায় বসার জন্য ‘যোগ্য’ ঘোষিত ১২০১২ জন প্রার্থীর মধ্যে, মোট ৮১১১ জন আবেদন করেছিলেন,পরীক্ষা দিয়েছিলেন ৫৯৪৩ জন।