Abduction Case in Cooch Behar

পুলিশ সেজে ব্যবসায়ীর বাড়ি, তুলে নিয়ে গিয়ে টাকা দাবি কোচবিহারে, এক ঘণ্টায় উদ্ধার, ধৃত ৫

শনিবার মধ্যরাত রাত থেকেই অপহৃত ব্যবসায়ীর বাড়ির লোকের কাছে মুক্তিপণ চেয়ে ফোন আসতে থাকে। ফোনের ও পার থেকে বলা হয়, চার লক্ষ টাকা দেওয়া হলে ব্যবসায়ীকে ছেড়ে দেওয়া হবে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ২১:০৬
অপহরণকাণ্ডে পুলিশের হাতে ধৃত পাঁচ জন। রবিবার।

অপহরণকাণ্ডে পুলিশের হাতে ধৃত পাঁচ জন। রবিবার। —নিজস্ব চিত্র।

পুলিশ পরিচয় দিয়ে এক ব্যবসায়ীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল কিছু দুষ্কৃতী। পরে মুক্তিপণ বাবদ চাওয়া হয় চার লক্ষ টাকা। কোচবিহারের এই ঘটনায় অপহৃত ব্যবসায়ীর পরিবার ফাঁড়িতে অভিযোগ দায়ের করতেই এক ঘণ্টার মধ্যে অপহরণকারীদের পুরো দলকে ধরে ফেলল জেলার পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে ওই ব্যবসায়ীকেও।

Advertisement

প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, শনিবার কোচবিহার ১ নম্বর ব্লকের চান্দামারির বাসিন্দা বছর পঞ্চাশের সুবারণ মণ্ডল প্রতি দিনের মতোই রাতের খাবার খেয়ে নিজের ঘরে ঘুমোচ্ছিলেন। হঠাৎ রাত ১টা নাগাদ দরজায় কড়া নাড়ে কয়েক জন। তারা নিজেদের পুলিশ বলে পরিচয় দেয়। তার পর কিছু বুঝে ওঠার আগেই সুবারণকে গাড়িতে তুলে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা।

শনিবার মধ্যরাত রাত থেকেই ওই ব্যবসায়ীর বাড়ির লোকের কাছে মুক্তিপণ চেয়ে ফোন আসতে থাকে। ফোনের ও পার থেকে বলা হয়, চার লক্ষ টাকা দেওয়া হলে ব্যবসায়ীকে ছেড়ে দেওয়া হবে। টাকা কোথায় কী ভাবে দিতে হবে, তা নিয়ে বার বার সিদ্ধান্ত বদলাতে থাকেন অপহরণকারীরা। তার পরই তাদের পুলিশ পরিচয় নিয়ে সন্দেহ হয় ব্যবসায়ীর পরিবারের। রবিবার সকালে স্থানীয় নিশিগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়িতে বিষয়টি জানায় তারা। অপহরণকারীদের ধরতে তাদেরই কথা মতো কোচবিহার মাথাভাঙ্গা রাজ্য সড়কের দলং মোড় এলাকায় টাকা দিতে পৌঁছন পরিবারের লোকজন। পিছনে অপেক্ষায় ছিল সাদা পোশাকের পুলিশ। প্রথমে দেড় লক্ষ টাকা অপহরণকারীদের দেওয়া হয়। টাকার ব্যাগ হাতবদল হতেই দিতে পুলিশ পাকড়াও করে পাঁচ অপহরণকারীকে। সেখান থেকেই উদ্ধার করা হয় অপহৃত ব্যবসায়ীকেও।

ঘটনা প্রসঙ্গে সুবারণের দাদা সুকুমার মণ্ডল বলেন, “শনিবার রাত ১টা নাগাদ পুলিশ পরিচয় দিয়ে দাদাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় কয়েক জন। তার পর ফোন আসে আমাদের কাছে। চার লক্ষ টাকা দাবি করা হয়। টাকা না-দিলে দাদাকে ছাড়া হবে না এটাও বলা হয়। অপহরণকারীরা কয়েকবার বিভিন্ন জায়গায় টাকা লেনদেনের কথা বললে আমাদের বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়। আমরা রবিবার সকালে স্থানীয় নিশিগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়িতে গিয়ে সমস্ত ঘটনা জানাই। তার পর পুলিশের সহযোগিতায় অপহরণকারীদের টাকা দিতে গেলে পুলিশ তৎক্ষণাৎ তাদের গ্রেফতার করে। দুষ্কৃতীদের গাড়ির ভিতর থেকে আমার দাদাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।”

Advertisement
আরও পড়ুন