সব খাবারের সঙ্গে ঘি চলে না, কোন কোন খাবারের সঙ্গে একেবারেই খাবেন না? ছবি: ফ্রিপিক।
দুধের মাঠা তুলে, দেশি পদ্ধতিতে ঘি বানানোর প্রচলন আজকের কথা নয়। কয়েক হাজার বছর ধরে এই রীতির চল রয়েছে ভারতে। ঘি খুবই স্বাস্থ্যকর সন্দেহ নেই। তবে ওজন বেশি হলে বা হৃদ্রোগ থাকলে ঘি মেপেঝুপেই খেতে বলা হয়। এক চামচ ঘিয়ের মধ্যে থাকা ১৫ গ্রাম ফ্যাটের মধ্যে ৯ গ্রামই হল স্যাচুরেটেড ফ্যাট। সেই ১৫ গ্রামের মধ্যেই রয়েছে ৪৫ মিলিগ্রামের মতো কোলেস্টেরল। তবে ঘি থেকে যে কোলেস্টেরল ঢোকে শরীরে তা শরীরের দৈনিক চাহিদার মাত্র ১৫ শতাংশ। ফলে ঘি মানেই যে তা শরীরের জন্য ক্ষতিকারক, তা নয় একেবারেই। যদি হার্টের রোগ বা অন্য কোনও ক্রনিক অসুখ না থাকে, তা হলে দিনে দু’চামচ ঘি খাওয়া যেতেই পারে। কিন্তু সব খাবারের সঙ্গে ঘি একেবারেই চলবে না।
কোন কোন খাবারের সঙ্গে ঘি নৈব নৈব চ
দইয়ের সঙ্গে কখনওই ঘি খাবেন না। দই হল প্রোবায়োটিক, শরীর ঠান্ডা রাখে। এর সঙ্গে ঘি-এর যুগলবন্দি হজম প্রক্রিয়ার জন্য মোটেই ভাল নয়।
চা বা কফির সঙ্গে আজকাল ঘি মিশিয়ে খাওয়ার চল হয়েছে। বুলেট কফিতেও ঘি মেশানো হয়। কিন্তু চিকিৎসকেরা বলেন, চা বা কফির সঙ্গে ঘি সকলের সহ্য না-ও হতে পারে। গ্যাস-অম্বল, অ্যাসিড রিফ্লাক্স বা হজমের সমস্যা যাঁদের খুব বেশি, তাঁরা ঘি দিয়ে চা বা কফি খেলে শরীরে প্রদাহ আরও বাড়বে।
মধুর সঙ্গে ঘি একেবারেই চলবে না। মধু ও ঘি একসঙ্গে খেলে শরীরে টক্সিন বা দূষিত পদার্থ তৈরি হবে। ফলে অম্বলের সমস্যা আরও বেড়ে যাবে।
ঘি-এর সঙ্গে কখনও মাছ খাবেন না। অনেকেই মাছের ঝোলে ঘি মেশান, এই অভ্যাস স্বাস্থ্যকর নয়। ঘি আর মাছ একসঙ্গে খেলে যেমন ক্যালোরির মাত্রা বাড়বে, তেমনই তা ত্বকের জন্যও স্বাস্থ্যকর নয়।