Extortion Case

অভিষেকের নাম করে তোলা: শুভেন্দুর পরামর্শ নিয়ে থানায় হাজিরা দিতে যাবেন বিজেপি বিধায়ক

অভিষেকের নাম করে তোলাবাজিকাণ্ডে তিন অভিযুক্তকে এমএলএ হস্টেল থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সূত্রের খবর মিলেছিল, ধৃতেরা যে ঘরে ছিলেন, সেই ঘরটি ওই বিজেপি বিধায়কের নামে বুক করা।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৯:০১
Cooch Behar BJP MLA Nikhil Ranjan Dey said he will arrive before police on Monday

(বাঁ দিক থেকে) অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, শুভেন্দু অধিকারী এবং নিখিলরঞ্জন দে। —ফাইল চিত্র।

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে টাকা তোলার অভিযোগে কোচবিহার দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে-র কাছে তথ্য তলব করেছিল লালবাজার। সেই তথ্য নিয়ে সশরীরে শেক্সপিয়ার সরণি থানায় হাজির দেবেন বলে জানান নিখিল। তিনি জানান, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর পরামর্শে তদন্তে সহযোগিতা করতে থানায় হাজিরা দেবেন।

Advertisement

অভিষেকের নাম করে তোলাবাজিকাণ্ডে ইতিমধ্যেই তিন অভিযুক্তকে এমএলএ হস্টেল থেকে গ্রেফতার করেছে শেক্সপিয়ার সরণি থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর মিলেছিল, ধৃতেরা যে ঘরে ছিলেন, সেই ঘরটি নিখিলের নামে বুক করা। সেই কারণেই নিখিলের কাছে তথ্য তলব করা হয়েছিল বলে তদন্তকারী সূত্রে খবর ছিল। যদিও শনিবার পর্যন্ত তথ্য তলবের বিষয়ে নিখিল দাবি করেছিলেন, তিনি পুলিশের কোনও চিঠি পাননি। তবে রবিবার কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক জানান, শনিবার রাতে কোতোয়ালি থানার পুলিশ মারফত তাঁর কাছে সমনের চিঠি এসেছে। সেই চিঠি তিনি গ্রহণ করেছেন। সোমবারই থানায় গিয়ে হাজিরা দেবেন বলেও জানান নিখিল। সেই কারণে রবিবার রাতেই কলকাতার উদ্দেশে রওনা দিচ্ছেন তিনি।

পুলিশের তলব প্রসঙ্গে শুভেন্দুর সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে বলেও জানান নিখিল। তাঁর কথায়, ‘‘ভারতের এক জন নাগরিক এবং বিধায়ক হিসেবে তদন্তের স্বার্থে আমি সব ধরনের সহযোগিতা করব। ইতিমধ্যে এই বিষয়ে আমাদের বিরোধী দলনেতার সঙ্গে কথা বলেছি। তিনিও আমাকে তদন্তের স্বার্থে যাওয়ার জন্য বলেছেন।’’ তবে কী ভাবে এমএল হস্টেলের ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে সন্দেহ আছে বলে জানান লিখিল। তাঁর কথায়, ‘‘যত ক্ষণ পর্যন্ত না আমার নামে বুকিংয়ের চিঠি দেখতে পাচ্ছি, তত ক্ষণ পর্যন্ত এ ব্যাপারে সন্দেহ থাকবে।’’ পাশাপাশি তিনি এ বিষয়ে এমএলএ হস্টেলের সকল বিধায়ককে সাবধানতা অবলম্বন করার অনুরোধও করেন।

অভিষেকের নাম করে পূর্ব বর্ধমানের কালনার পুরপ্রধান আনন্দ দত্তকে হুমকি এবং তাঁর কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করে বৃহস্পতিবার তিন জন গ্রেফতার হয়েছিলেন। ধৃতদের নাম জুনায়েদুল হক চৌধুরী, শুভদীপ মালিক এবং শেখ তসলিম। তিন জনই হুগলির বাসিন্দা। তদন্তকারীদের সূত্রে খবর, কিছু ভুয়ো নথি দেখিয়ে আনন্দের কাছ থেকে ধাপে ধাপে টাকা চাওয়া হয়েছিল। পুরপ্রধান থানায় প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করতেই তদন্তে নামে পুলিশ। সেই মতো ফাঁদও পাতা হয়। বৃহস্পতিবার এমএলএ হস্টেলে অভিযুক্তদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন পুরপ্রধান। সঙ্গে ছিলেন শেক্সপিয়র সরণি থানার পুলিশ আধিকারিকেরাও। এর পর এমএলএ হস্টেল থেকেই অভিযুক্তদের পাকড়াও করা হয়। সেই সূত্র ধরেই নিখিলের কাছে তথ্য তলব পুলিশের।

Advertisement
আরও পড়ুন