Model of Kharagpur and Midnapore Station

দুই স্টেশনের মডেল ছবি প্রকাশ্যে

শনিবার সন্ধ্যায় খড়্গপুর স্টেশনের ভিআইপি লাউঞ্জে পৌঁছন দক্ষিণ-পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার অনিলকুমার মিশ্র।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
খড়্গপুর শেষ আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৮:৪৩
অমৃত ভারত প্রকল্পে খড়্গপুর (বাঁ দিকে) এবং মেদিনীপুর স্টেশনের মডেল ছবি।

অমৃত ভারত প্রকল্পে খড়্গপুর (বাঁ দিকে) এবং মেদিনীপুর স্টেশনের মডেল ছবি। নিজস্ব চিত্র।

ডিভিশনের ১৯টি স্টেশন নবরূপে সেজে উঠতে চলেছে। প্রকল্পের নাম ‘অমৃত ভারত স্টেশন’। পরিকাঠামো থেকে পরিষেবায় একেবারে আধুনিক ঝাঁ-চকচকে রূপ পাবে স্টেশনগুলি। এ বার সেই তালিকায় থাকা ডিভিশনের সদর খড়্গপুর ও পাশের শহর মেদিনীপুর রেল স্টেশন ভবনের নতুন রূপে সেজে ওঠার মডেল ছবি প্রকাশ্যে এল। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজারের সঙ্গে সাংসদ দিলীপ ঘোষের আলাপচারিতার মাঝে সামনে এল সেই ছবি!

Advertisement

শনিবার সন্ধ্যায় খড়্গপুর স্টেশনের ভিআইপি লাউঞ্জে পৌঁছন দক্ষিণ-পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার অনিলকুমার মিশ্র। এ দিন সেখানেই মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপের সঙ্গে আলাপচারিতা হয়। নিজের লোকসভা কেন্দ্রের নানা সমস্যার কথা তুলে ধরে রেলের কাছে সমাধানের দাবি জানান দিলীপ। সেই সময়েই দিলীপের লোকসভা কেন্দ্রে থাকা ডিভিশনের সদর খড়্গপুর জংশন ও মেদিনীপুর স্টেশনের দু’টি ছবি জেনারেল ম্যানেজারকে দেখান ডিআরএম কেআর চৌধুরী। ‘অমৃত ভারত স্টেশন’ প্রকল্পে নতুন রূপে ওই দুই স্টেশনের ভবন গড়ে তোলা হবে। গত সেপ্টেম্বরেই দুই স্টেশনে সাংসদ দিলীপের সঙ্গে ওই দুই স্টেশনকে অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্পে কীভাবে সাজানো হবে তার পরিকল্পনা করতে দেখা গিয়েছিল ডিআরএমকে। ওই অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্পে শুধু নতুন ভবন নয়, খড়্গপুরে রুফটপ প্লাজা, বিশালাকার স্টেশন চত্বর, শপিং মল, প্রশস্ত ফুটব্রিজ-সহ নানা পরিষেবায় সাজিয়ে তোলা হবে। দিলীপ বলেন, “রেলে অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্পে কাজ শুরু হবে খড়্গপুরে। জমি দেখা হয়েছে। পরিকল্পনা চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। এ সব কাজ হলে কর্ম সংস্থানও বাড়বে। আমরা চাই স্থানীয় ছেলেরা যাতে কাজ পায়।”

ওই দিন দক্ষিণ-পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজারের সঙ্গে আলোচনায় রেলশহরের নানা সমস্যার কথা তুলে ধরেন সাংসদ। শহরের রয়েছে রেলের প্রধান হাসপাতাল। সেখানে বছর খানেক আগে খোলা হয় ডায়ালিসিস বিভাগ। অথচ রেলের কর্মী ছাড়া বাইরের কাউকে ওই ডায়ালিসিস বিভাগে ভর্তির সুযোগ দেওয়া হয় না। শহরবাসীর তা নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে। ওই দিন দিলীপ সেই বিষয়টি তুলে ধরে ৬শয্যার ডায়ালিসিস বিভাগে বাইরের রোগীদের ভর্তির আর্জি জানান। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, সেই সময়েই জেনারেল ম্যানেজার বিষয়টি শুনে বাইরের লোকেদের যাতে ভর্তির ব্যবস্থা করা যায় তার ব্যবস্থার আশ্বাস দেন। এমনকি প্রয়োজনে শয্যা সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনার কথাও বলেন। একইসঙ্গে রেলশহরে রেলের বাজার গুলিতে বিদ্যুৎ, পানীয় জলের সংযোগের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণের কথাও জেনারেল ম্যানেজারের কাছে তুলে ধরেন। সঙ্গে রাস্তাঘাট, রেলের ময়দান সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের দাবি জানান তিনি।

মেদিনীপুরের সাংসদ বলেন, “সাংসদদের নিয়ে রেলের বৈঠকে কিছুদিন আগে জেনারেল ম্যানেজারকে একবার খড়্গপুরে আসতে বলেছিলাম। উনি এসেছিলেন। দেখা হল। কথা হল। খড়্গপুরের অনেক বছর পরে রেলের বহু কাজ হয়েছে। তবে ছোট-ছোট নানা সমস্যা রয়েছে। তেমনই রেলের মাঠ, পানীয় জল, কোয়ার্টার, বাজারের ফুটপাথ, বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে যে সমস্যাগুলি তা নিয়ে কথা হয়েছে। সঙ্গে রেল হাসপাতালের ডায়ালিসিসে বাইরের রোগী ভর্তি নেওয়ার কথা বলেছি। উনি আশ্বাস দিয়েছেন।”

আরও পড়ুন
Advertisement