Dacoity in TMC councillor house

তৃণমূল কাউন্সিলরের স্ত্রীর মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে সোনার গয়না ও নগদ নিয়ে চম্পট, খড়্গপুরে উত্তেজনা

খড়্গপুর পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর বনথা মুরলীর বাড়িতে চার দুষ্কৃতী ঢুকে তাঁর স্ত্রীর মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে সর্বস্ব লুটপাট করে পালিয়ে যায়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
খড়্গপুর শেষ আপডেট: ২০ মার্চ ২০২৪ ১১:৪৮
তৃণমূল কাউন্সিলরের বাড়িতে সোনার গয়না এবং নগদ টাকা ডাকাতি।

তৃণমূল কাউন্সিলরের বাড়িতে সোনার গয়না এবং নগদ টাকা ডাকাতি। — নিজস্ব চিত্র।

রাতের অন্ধকারে বাড়িতে ঢুকে তৃণমূল কাউন্সিলরের স্ত্রীর মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে কয়েক লক্ষ টাকার সোনার গয়না এবং নগদ টাকা ছিনতাই করে পালাল দুষ্কৃতীরা। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের রেল কলোনির মথুরাকাটিতে কাউন্সিলর বনথা মুরলীর বাড়িতে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে খড়্গপুর টাউন থানার পুলিশ। তবে এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। উদ্ধার হয়নি লুট হওয়া সোনা বা নগদ।

Advertisement

জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে তৃণমূল কাউন্সিলর বনথা বাড়িতে ছিলেন না। সেই সময় তাঁর স্ত্রী বিজয়া বাড়িতে একাই ছিলেন। আচমকাই চার দুষ্কৃতী বাইকে চেপে তাঁর বাড়ির সামনে এসে দাঁড়ায়। মুখে মাস্ক পরে বাড়িতে ঢুকে বিজয়ার হাত-পা বেঁধে মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে কয়েক লক্ষ টাকার সোনার গয়না-সহ টাকা ছিনতাই করে পালিয়ে যায়।

কাউন্সিলরের স্ত্রী বিজয়া বলেন, ‘‘বাড়ির ভিতরে কোনও বাইরের লোক ঢোকেন না। কিন্তু ওই চার জন স্বামীর খোঁজ করতে করতে জোর করে বাড়ির ভিতরে ঢুকে পড়ে। তার পর প্রথমে আমার হাত পিছমোড়া করে বেঁধে দেয়। বিছানায় ফেলে পা-ও বেঁধে দেয়। আমার সামনে বন্দুক ধরে রাখে এক জন। বাকিরা সোনার গয়না, নগদ টাকাপয়সা যা ছিল সব নিয়ে পালিয়ে যায়।’’

মহিলার অভিযোগ, ওই চার ব্যক্তি যখন তাঁর স্বামীর খোঁজ করতে করতে বাড়ির ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করছিলেন, তখন তিনি স্বামীকে ফোন করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু দুষ্কৃতীরা তাঁকে ফোন করতেও বাধা দেয়। ফোন কেড়ে নেওয়া হয় বলেও অভিযোগ বিজয়ার। কাউন্সিলর বনথা বলেন, ‘‘তখন বাড়িতে স্ত্রী সেলাইয়ের কাজ করছিলেন। আর আমি পার্টি অফিসে ছিলাম। চার জন ঢুকে বন্দুক দেখিয়ে হাত, পা বেঁধে সোনার গয়না এবং টাকা নিয়ে পালায়। এর আগে ওই এলাকায় এমন ঘটনা ঘটেছে ঠিকই, কিন্তু আমার সঙ্গে এই প্রথম।’’

বুধবার সকালে কাউন্সিলর বনথার বাড়িতে যান প্রাক্তন পুরপ্রধান প্রদীপ সরকার। প্রদীপ বলেন, ‘‘খুবই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ প্রশাসনের কাছে অনুরোধ, ঘটনার প্রকৃত তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।’’ জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।’’

আরও পড়ুন
Advertisement