Lynching

যুবককে পিটিয়ে খুনের অভিযোগে উত্তপ্ত কাঁকসা, বাড়ি ভাঙচুর, গাড়িতে আগুন, তদন্তে পুলিশ

২৬ বছরের যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসায় উত্তেজনা। উত্তেজিত জনতা এক ব্যক্তির বাড়িতে ঢুকে ভাঙচুর করে। বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থাকা একটি গাড়িতেও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কাঁকসা শেষ আপডেট: ২০ মার্চ ২০২৪ ১১:২৯
মৃত পবিত্র বিশ্বাস।

মৃত পবিত্র বিশ্বাস। — নিজস্ব চিত্র।

যুবককে পিটিয়ে খুনের অভিযোগে উত্তপ্ত পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসা। মৃত যুবকের নাম পবিত্র বিশ্বাস। স্থানীয় সূত্রে দাবি, রাতে একটি ফোন পেয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান পবিত্র। তার পর থেকে আর তাঁর খোঁজ পাওয়া যায়নি। গভীর রাতে গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এর পরেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পোড়ানো হয় গাড়ি।

Advertisement

কাঁকসার গোপালপুরের উত্তরপাড়া এলাকার বাসিন্দা ২৬ বছরের পবিত্র। স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাতে পবিত্র একটি ফোন পেয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। তার পর থেকেই আর তাঁর খোঁজ নেই। ছেলে বাড়ি না ফেরায় প্রতিবেশীদের নিয়ে আশপাশে খোঁজখবর করতে শুরু করেন পবিত্রের মা, বাবা। রাত ৩টে নাগাদ ওই পাড়ারই শম্ভু দাস নামে এক ব্যক্তির বাড়ির সামনে ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায় পবিত্রকে। তড়িঘড়ি তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

এ দিকে, স্থানীয়দের অভিযোগ, যে বাড়ির সামনে পবিত্রকে পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছিল, সেই শম্ভুই তাঁকে খুন করেছেন। এর পরেই স্থানীয়দের সমস্ত রাগ গিয়ে পড়ে শম্ভুর উপর। এক দল মানুষ গিয়ে শম্ভুর বাড়ি ভাঙচুর করে। পুড়িয়ে দেওয়া হয় একটি গাড়ি। ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে কাঁকসা থানার পুলিশ। দমকল গাড়ির আগুন নেভায়।

এলাকায় তীব্র উত্তেজনা রয়েছে। তাই বসানো হয়েছে পুলিশ পিকেট। সকালে ঘটনাস্থলে এসেছিলেন কাঁকসার এসিপি সুমন জয়সওয়াল। তিনি বলেন, ‘‘দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। সেই রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর জানা যাবে কি কারণে মৃত্যু। সাধারণ মানুষ মনে করছেন দেহটি যাঁর বাড়ির সামনে পাওয়া গিয়েছে তাঁরাই হয়তো তাঁকে খুন করেছেন। পুরো ঘটনার বিশদ তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement