Adoption

মেদিনীপুরে দুই শিশুকে দত্তক নিলেন বেলজিয়ামের দম্পতি, ৪৫টি শিশু পেল বাবা-মা, জানাল পুলিশ

পশ্চিম মেদিনীপুর অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) কেম্পা হুন্নাইয়া তাঁর চেম্বারে দুই কন্যাসন্তানের পাসপোর্ট এবং ভিসার কাগজ তুলে দেন বেলজিয়ামের ওই দম্পতির হাতে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৭:০৬
adoptation

বেলজিয়ামে বসবাসকারী দম্পতির হাতে দুই কন্যাসন্তানকে তুলে দিয়েছে পুলিশ। —নিজস্ব চিত্র।

এক মাসের মধ্যে আরও দুটি কন্যাসন্তানকে দত্তক দিল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। এ বার বেলজিয়ামের এক দম্পত্তি ওই দুই কন্যাকে দত্তক নিয়েছেন। গত ১৫ জানুয়ারি সাড়ে তিন বছরের এক পুত্রসন্তানকে দত্তক নিয়েছিলেন ইটালির এক দম্পতি।

Advertisement

মঙ্গলবার পশ্চিম মেদিনীপুরের অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) কেম্পা হুন্নাইয়া তাঁর চেম্বারে দুই কন্যাসন্তানের পাসপোর্ট এবং ভিসার কাগজ তুলে দেন বেলজিয়ামের ওই দম্পতির হাতে। দত্তক দেওয়া দু’টি শিশুর মধ্যে এক জনের বয়স সাড়ে চার বছর। আর একটি শিশুর সাড়ে পাঁচ বছর। দুই শিশুকে দত্তক নেওয়া ওই দম্পতি আদতে ভারতীয়। উত্তরপ্রদেশ এবং লখনউয়ের বাসিন্দা তাঁরা। তবে কর্মসূত্রে থাকেন বেলজিয়ামে। সেখানে একটি বেসরকারি সংস্থায় দু’জনে চাকরি করেন। ওই দম্পতি জানিয়েছেন ৯ বছর আগে বিয়ে হলেও তাঁদের সন্তান হয়নি। তাই ২০২২ সালের জুন মাসে সন্তান দত্তক নেওয়ার জন্য আবেদন করেন তাঁরা। সমস্ত কাগজপত্র খতিয়ে দেখার পরই ডিসেম্বরে পাসপোর্ট তৈরি হয়ে যায়। এর পরেই জেলা প্রশাসন ভিসার ব্যবস্থা করে।

জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, মেদিনীপুর শহরের সরকারি বিদ্যাসাগর বালিকা ভবনে ওই দুই কন্যাসন্তানের লালন-পালন হয়। অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) হুন্নাইয়া বলেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত ৪৫টি শিশুকে দত্তক দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে ৬ জনকে বিদেশি দম্পতি দত্তক নিয়েছেন। তবে শুধু শিশুদের দত্তক দেওয়াই নয়, তারা কেমন আছে, কী ভাবে আছে, সে নজরদারিও চালানো হয় প্রশাসনের তরফে।’’

দুই কন্যাকে দত্তক নিয়ে বেলজিয়ামে বসবাসকারী দম্পতি বলেন, ‘‘এই আনন্দ তো ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। নিজেদের হোক আর দত্তকই হোক, ওরা শিশুসন্তান। পড়াশোনা করে বড় হবে ওরা। ওদের দেখভালে কোনও খামতি থাকবে না।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement