বৃন্দা কারাটের নেতৃত্বে সিপিএমের মহিলা প্রতিনিধিদল। ছবি: সংগৃহীত।
সন্দেশখালির পথে প্রথমে ধামাখালিতে আটকে দেওয়া হয় বৃন্দা কারাটের নেতৃত্বাধীন সিপিএমের মহিলা প্রতিনিধিদলকে। তার পর প্রশাসনের অনুমতিতেই সন্দেশখালির পথে রওনা দিয়েছেন বৃন্দা, কণীনিকা ঘোষ। জাহানারা খানেরা। মঙ্গলবার বেলা ১২টা ৪০ মিনিটে আনন্দবাজার অনলাইনকে বৃন্দা বলেন, ‘‘প্রথমে আমাদের আটকানো হয়েছিল। তার পর আমরা প্রশাসনের কাছে জানতে চাই কেন বাধা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু ওরা কোনও সদুত্তর দিতে পারেনি। শেষে অনুমতি দিতে বাধ্য হয়।’’
বৃন্দাদের অনুমতি দেওয়ার খানিক ক্ষণ আগেই কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীদের সন্দেশখালি যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে। অনেকের মতে, সেই কারণেই হয়তো বৃন্দাদের সন্দেশখালি যাওয়ার অনুমতি মিলেছে। কারণ ওই রায় কোনও নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা দলের জন্য নয়। সার্বিক ভাবেই প্রযোজ্য।
সোমবার রাতে সিপিএমের তরফে জানানো হয়, দলের পলিটব্যুরোর সদস্য বৃন্দা কলকাতায় আসছেন। মঙ্গলবার সকালে তিনি শহরে পৌঁছন। তার পর রওনা হন সন্দেশখালির উদ্দেশে। এর আগেও, কণীনিকা, মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায়েরা সন্দেশখালিতে যেতে গিয়ে বাধা পেয়েছিলেন। যদিও তখন ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার-সহ বিবিধ ঘটনা ঘটেনি। সদ্য তখন সন্দেশখালির প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক নিরাপদ সর্দার গ্রেফতার হয়েছিলেন। এখনও তিনি জেল হেফাজতেই রয়েছেন।
সন্দেশখালির গ্রামে গ্রামে ঘুরে মহিলাদের সঙ্গে কথা বলার পরিকল্পনা রয়েছে সিপিএম নেত্রীদের। বৃন্দা সন্দেশখালিতে পৌঁছনোর আগে আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেন, ‘‘ধমাখালিতেই দেখছি মানুষের চোখেমুখে ভয়, আতঙ্ক। আরও প্রত্যন্ত এলাকায় কী অবস্থা সেটাই ভাবছি।’’