এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
আবার মেট্রো লাইনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা। এ বার কবি নজরুল স্টেশনে। তার জেরে বৃহস্পতিবার ব্লু লাইন (দক্ষিণেশ্বর থেকে কবি সুভাষ)-এ বিপর্যস্ত হয় মেট্রো পরিষেবা। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার বিকেলে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন এক জন। ফলে কবি সুভাষ থেকে মহানায়ক উত্তমকুমার (টালিগঞ্জ) স্টেশন পর্যন্ত পরিষেবা সাময়িক বন্ধ ছিল। ভোগান্তির শিকার হন যাত্রীরা। ৪৯ মিনিট পর পরিষেবা স্বাভাবিক হয়।
মেট্রো রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টে ২৮ মিনিট নাগাদ কবি নজরুল স্টেশনে আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনাটি ঘটে। সঙ্গে সঙ্গে স্টেশন খালি করে দেওয়া হয়। তাঁকে উদ্ধার করতে বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয় তৃতীয় লাইনে। বিকেল ৫টা ১৭ মিনিটে পরিষেবা স্বাভাবিক হয়েছে বলে মেট্রো রেল সূত্রে খবর।
আপ এবং ডাউন দুই লাইনেই পরিষেবা ব্যাহত হয় বলে জানা যায়। পরিষেবা ব্যাহত হওয়ায় ভোগান্তির শিকার হন মেট্রোযাত্রীরা। স্টেশনে স্টেশনে যাত্রীদের ভিড় বাড়তে থাকে। অফিসফেরত যাত্রীরা সমস্যায় পড়েন। অনেকেই মেট্রো ছেড়ে সড়কপথে গন্তব্যে যাওয়া চেষ্টা করেন।
বার বার মেট্রোর সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনা নিয়ে উদ্বিগ্ন মেট্রো কর্তৃপক্ষ। নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। যাত্রীদের প্রশ্ন, কেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে উপযুক্ত পদক্ষেপ করছেন না? সম্প্রতি লাইনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার ঘটনা রুখতে কালীঘাট স্টেশনের ডাউন প্ল্যাটফর্মে পাকাপোক্ত ভাবে কিছু গার্ডরেল বসিয়েছেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ। কিন্তু নিত্যযাত্রীদের একাংশের বক্তব্য, দু’টি গার্ডরেলের মধ্যে যা ব্যবধান, তাতে কর্তৃপক্ষের আসল উদ্দেশ্য সফল হওয়ার সম্ভাবনা কম। এ ছাড়াও শুধুমাত্র কালীঘাট স্টেশনে একটি দিকে গার্ডরেল বসিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনা আটকানোর পরিকল্পনা অবাস্তব বলেও প্রশ্ন তোলেন যাত্রীদের একাংশ। একের পর এক আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনা প্রকাশ্যে আসছে, যা নিয়ে চিন্তিত মেট্রো কর্তৃপক্ষ।