এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
ঠাকুরপুকুরের এক বাড়ি থেকে মহিলার দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল। বৃহস্পতিবার ঠাকুরপুকুরের ডায়মন্ড পার্কের বন্ধ ঘর থেকে ওই মহিলার রক্তাক্ত দেহ পাওয়া যায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতার শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিক অনুমান, তাঁকে খুন করা হয়েছে। তবে মৃত্যুর নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ঘটনাস্থলে রয়েছেন পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরা। ঘটনার পর থেকেই ওই মহিললার সঙ্গী উধাও।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দিন সাতেক আগে ওই এলাকায় ভাড়া এসেছিলেন মহিলা। এলাকায় এমন ঘটনা ঘটায় আতঙ্কিত স্থানীয়েরা। তাঁদেরও অনুমান মহিলাকে খুন করা হয়েছে। তবে কে বা কারা এই ঘটনা ঘটাল, তা স্পষ্ট নয়। সূত্রের খবর, মুখ এবং হাত বাঁধা ছিল। স্বামী-স্ত্রীর পরিচয় দিয়ে ঘর ভাড়া নিয়েছিলেন দু’জন। ঘটনাস্থল থেকে একটি কাটারি উদ্ধার হয়েছে। সেই কাটারি দিয়েই খুন করা হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। একটি আধার কার্ডও পাওয়া গিয়েছে। তবে তাতে যে ছবি রয়েছে তা খুবই অস্পষ্ট। ঘটনার পর থেকেই পলাতক মৃতার সঙ্গী। তাঁর খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ।
শঙ্কর দাস নামে এক এলাকাবাসীর কথায়, ‘‘দুপুরে খুনের কথা শুনলাম। এসে দেখি ওই বাড়ির সামনে অনেক পুলিশ।’’ ঠাকুরপুকুরের ওই এলাকায় আগে এমন ঘটনা ঘটেনি বলেই জানান শঙ্কর ও অন্যান্য বাসিন্দা। তাঁদের কথায়, ‘‘আমাদের এখানে এমন ঘটনা প্রথম। শুনেছি, স্বামীর সঙ্গে থাকতেন ওই মহিলা। তবে মৃতার স্বামী কোথায়, তা জানি না।’’
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ঠাকুরপুকুর থানার পুলিশ। খবর দেওয়া হয় লালবাজারের হোমিসাইড শাখার গোয়েন্দাদেরও। ঘটনাস্থলে রয়েছেন ডেপুটি কমিশনার পদস্থ অফিসার। ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞেরাও এসেছেন। নমুনা সংগ্রহ করার কাজ চলছে। মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। পুলিশ গোটা বিষয় খতিয়ে দেখছে। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।