Post Poll Violence

Post Poll Violence: বিজেপি-র লোকজনদের দিয়ে কমিশনের তদন্ত! আর কী কী অভিযোগ রাজ্যের হলফনামায়

রাজ্যের প্রশ্ন, কমিশনের কাজ রিপোর্ট তৈরি করা। তারা সিবিআই বা সিট তদন্তের দাবি করা এবং তদন্ত সরিয়ে নিয়ে যেতে বলার কে?

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২১ ১২:৪৬
হাইকোর্টে হলফনামা জমা দিয়ে কমিশনের তীব্র সমালোচনা রাজ্যের।

হাইকোর্টে হলফনামা জমা দিয়ে কমিশনের তীব্র সমালোচনা রাজ্যের। —ফাইল চিত্র।

তদন্তে নেমে রাজ্যের বিরুদ্ধে ভূরি ভূরি অভিযোগ এনেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। ‘ভোট পরবর্তী হিংসা’র জন্য রাজ্য সরকারকে কাঠগড়ায় তুলেছে তারা। এ বার কড়া ভাষায় তার জবাব দিল রাজ্য। কলকাতা হাই কোর্টে হলফনামা দিয়ে পাল্টা কমিশনের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে তারা। রাজ্যের অভিযোগ, নিরপেক্ষ তদন্ত নয়, রাজ্যকে অপদস্থ করাই লক্ষ্য কমিশনের। তাই পক্ষপাতদুষ্ট রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে।

কমিশনের সদস্যদের বিজেপি ঘনিষ্ঠতা নিয়েও নতুন করে সরব হয়েছে রাজ্য। রাজীব জৈন, আতিফ রশিদ এবং রজুলবেন এল দেসাই, যাঁরা ঘোষিত ভাবেই বিজেপি, তাঁদের নিয়োগপ্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে রাজ্য। রাজ্যের অভিযোগ, কমিশনের রিপোর্টের সঙ্গে বাংলার বাস্তবিক কোনও মিল নেই। বরং নেতিবাচক রিপোর্ট তৈরি করতেই কমিশনকে পাঠানো হয়েছিল। কী অভিযোগ আনা হবে, কার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হবে, আগে থেকেই সব ঠিক ছিল।

Advertisement

রাজ্যের দাবি, ভোটের পর হিংসার খবর পাওয়ামাত্রই পদক্ষেপ করেছে প্রশাসন। অনেক ক্ষেত্রে অভিযোগ দায়ের করতেই হয়নি। স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে পুলিশই পদক্ষেপ করেছে। তা সত্ত্বেও কমিশন যে রিপোর্ট তুলে ধরেছে, তাতে রাজ্যের পুলিশ এবং আমলাদের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে হলফনামায় জানিয়েছে রাজ্য।

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

‘ভোট পরবর্তী হিংসা’র অভিযোগ খতিয়ে দেখে বিশদ রিপোর্ট তৈরি করতে কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছিল হাই কোর্ট। কিন্তু কমিশন কোন অধিকারে সিবিআই তদন্তের দাবি জানায়, সিট গঠন করে তদন্তের সুপারিশ করে এবং তদন্ত রাজ্যের বাইরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার সুপারিশ করে, তা নিয়েও রাজ্য হলফনামায় প্রশ্ন তুলেছে।

আরও পড়ুন
Advertisement