ধৃত মিঠু হালদার (বাঁ দিকে) এবং মৃত সুবীর চাকী (ডান দিকে)। ফাইল ছবি।
গড়িয়াহাটের কাঁকুলিয়া রোডে জোড়া খুনের ঘটনায় ধৃত মিঠু হালদারকে ১৪ দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে তাঁকে আলিপুর আদালতে হাজির করানো হয়। কাঁকুলিয়া রোডের খুনের ঘটনায় মিঠুকে নিজেদের হেফাজতে রেখে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন বলে বিচারককে জানায় পুলিশ। তদন্তের স্বার্থে সেই দাবি মেনে বিচারক মিঠুকে আগামী ৩ নভেম্বর পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
গত রবিবার গড়িয়াহাটের কাঁকুলিয়ায় খুন হন কর্পোরেট কর্তা সুবীর চাকী এবং তাঁর গাড়িচালক রবীন মণ্ডল। ওই খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বুধবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবার থেকে মিঠুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বিকেলের মধ্যেই তাঁকে কলকাতায় নিয়ে আসেন গোয়েন্দারা। তার পর থেকে টানা জেরা করা হয় মিঠুকে। তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘ জেরায় মিঠুর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ আরও পাকাপোক্ত হয়। জেরায় মিঠু স্বীকার করেন, তাঁর বড় ছেলে ভিকি হালদারই এই খুনের ঘটনায় মূল ষড়যন্ত্রকারী। যদিও ভিকি এখনও অধরা। একই সঙ্গে পলাতক ওই খুনের ঘটনায় জড়িত আরও কয়েক জন। মিঠুকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে বাকি অভিযুক্তদেরও জালে পেতে চাইছেন তদন্তকারীরা।
অন্য দিকে, বৃহস্পতিবারই কলকাতার পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্র দাবি করেছেন, কাঁকুলিয়া রোডের জোড়া খুনের ঘটনার রহস্য সমাধান করে ফেলেছেন গোয়েন্দারা। মেয়ো রোডে কলকাতা পুলিশের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকে বেরিয়ে নগরপাল বলেন, ‘‘আমাদের গোয়েন্দা বিভাগ এবং অন্য আধিকারিকেরা মিলে গড়িয়াহাটের জোড়া খুনের ঘটনার সমাধান করেছেন। আরও কয়েক জনকে গ্রেফতার করা বাকি রয়েছে। সবাই গ্রেফতার হলে আমরা জানিয়ে দেব।’’