শাহিদ কপূরের সঙ্গে দীর্ঘ দিনের প্রেম, বিচ্ছেদ। তার পর বলি অভিনেতা সইফ আলি খানকে বিয়ে। কেরিয়ারের পাশাপাশি স্বামী এবং দুই পুত্রকে নিয়ে নিপুণ হাতে সংসার সামলাচ্ছেন করিনা কপূর খান। তবে করিনা যে অন্য পুরুষে মজে ছিলেন, এমনকি তাঁর পোস্টারও অভিনেত্রী স্নানঘরের ভিতর লাগিয়ে রেখেছিলেন, সে কথা জানিয়েছেন করিনার দিদি করিশ্মা কপূর।
‘ফিদা’, ‘৩৬ চায়না টাউন’, ‘চুপ চুপ কে’, ‘জব উই মেট’ এবং ‘মিলেঙ্গে মিলেঙ্গে’-এর মতো একাধিক হিন্দি ছবিতে শাহিদের সঙ্গে অভিনয় করেছেন করিনা। বড় পর্দায় শাহিদ-করিনার জুটি দর্শকের প্রিয় ছিল। পর্দার পিছনেও তাঁদের সম্পর্কের রসায়ন জমে উঠেছিল।
বলিপাড়ায় কানাঘুষো শোনা যায়, পেশাগত সূত্রে শাহিদের সঙ্গে করিনার আলাপ হলেও তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক দানা বাঁধে। তবে দু’-তিন বছর পর সেই সম্পর্কে ইতিও টেনে দেন তারকারা।
শাহিদের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর সইফের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন করিনা। ২০১২ সালে সইফ এবং করিনা বিয়ে করেন। অন্য দিকে, ২০১৫ সালে মীরা রাজপুতের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন শাহিদ।
করিনার জীবনের সঙ্গে শাহিদ এবং সইফের নাম জড়িয়ে থাকলেও তাঁর মনে জায়গা করে নিয়েছিলেন বলিপাড়ার অন্য এক অভিনেতা। সেই নায়কের প্রতি করিনা এতটাই মুগ্ধ ছিলেন যে, অভিনেতার পোস্টার পর্যন্ত তাঁর স্নানঘরের ভিতর লাগিয়ে ফেলেছিলেন অভিনেত্রী।
নব্বইয়ের দশকের ঘটনা। ‘ম্যায়নে প্যার কিয়া’ ছবিতে অভিনয় করে রাতারাতি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন সলমন খান। কয়েক বছরের মধ্যেই কেরিয়ারে সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছে যান তিনি। করিনার দিদি করিশ্মার সঙ্গে জুটি বেঁধেও বেশ কয়েকটি ছবিতে অভিনয় করেন তিনি।
‘দশ কা দম’ নামের একটি রিয়্যালিটি শোয়ে সলমন জানিয়েছিলেন, করিনা নাকি তাঁর পোস্টার স্নানঘরের ভিতর লাগিয়ে রেখেছিলেন। পরে তা আবার ছিঁড়েও ফেলেছিলেন। তা শুনে নাকি ভারী গোসা করেছিলেন সলমন। সলমনের মনে হয়েছিল, করিনা তাঁর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন।
১৯৯২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘নিশ্চয়’ নামের একটি হিন্দি ছবিতে একসঙ্গে অভিনয় করেছিলেন সলমন এবং করিশ্মা। সঙ্গে ছিলেন বলি অভিনেতা বিনোদ খন্নাও। সেই ছবির শুটিং চলাকালীন সলমনের প্রতি বোন করিনার মুগ্ধতার কথা জানিয়েছিলেন করিশ্মা।
সলমন বলেছিলেন, ‘‘করিশ্মা হঠাৎ আমায় এসে জানিয়েছিল যে, ওর বোন করিনা নাকি তাঁর স্নানঘরের ভিতর আমার পোস্টার লাগিয়ে রেখেছে। তা শুনে তো আমি খুব আনন্দ পেয়েছিলাম। কিন্তু কয়েক মাস পর যা শুনলাম তাতে আমার মন ভেঙে গিয়েছিল।’’
কয়েক মাস পর করিশ্মার সঙ্গে সলমনের দেখা হয়েছিল। করিশ্মা তখন জানিয়েছিলেন যে, করিনা তাঁর স্নানঘর থেকে সলমনের পোস্টার সরিয়ে দিয়েছেন। শুধু সরিয়েই দেননি, সেই পোস্টারটি ছিঁড়ে ফেলে দিয়েছেন করিনা।
সলমনের পোস্টার সরিয়ে নাকি অন্য অভিনেতার পোস্টার স্নানঘরে লাগিয়েছিলেন করিনা। এই প্রসঙ্গে করিশ্মার কাছে জানতে পেরে দুঃখ পেয়েছিলেন সলমন। তাঁর পরিবর্তে কোন অভিনেতা করিনার মনে জায়গা করে নিয়েছেন তা করিশ্মার কাছে জানতে চেয়েছিলেন সলমন।
১৯৯০ সালে মহেশ ভট্টের পরিচালনায় প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ‘আশিকি’। রোম্যান্টিক ঘরানার এই ছবিতে মুখ্যচরিত্রে অভিনয় করে সকলের নজরে পড়েন বলি অভিনেতা রাহুল রায়। তাঁর পোস্টারই স্নানঘরের ভিতর লাগিয়েছিলেন করিনা।
সলমনের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলে করিনা যে রাহুলের পোস্টার লাগিয়েছিলেন, তা জানতে পেরে কষ্ট পেয়েছিলেন সলমন। বলিউডের ‘ভাইজান’ এই প্রসঙ্গে বলেছিলেন, ‘‘আমার মনে হয়েছিল, করিনা আমার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে।’’ যদিও পুরো বিষয়টি মজার ছলেই বলেছিলেন সলমন।
‘নিশ্চয়’-এর পাশাপাশি করিশ্মার সঙ্গে বহু হিন্দি ছবিতে অভিনয় করেছেন সলমন। তালিকায় রয়েছে ‘জিৎ’, ‘দুলহন হম লে জায়েঙ্গে’, ‘চল মেরে ভাই’, ‘বিবি নম্বর ওয়ান’, ‘জুড়ওয়া’, ‘আন্দাজ় আপনা আপনা’, ‘হম সাথ সাথ হ্যায়’-এর মতো হিট ছবি।
করিনার সঙ্গেও বড় পর্দায় অভিনয় করতে দেখা যায় সলমনকে। ‘ম্যায় অউর মিসেস খন্না’, ‘বডিগার্ড’, ‘কিঁউ কি…’, ‘বজরঙ্গি ভাইজান’-এর মতো একাধিক ছবিতে একসঙ্গে অভিনয় করেছেন সলমন এবং করিনা।
সব ছবি: সংগৃহীত।