murder case

Gariahat murder case: গড়িয়াহাট জোড়া খুন রহস্যের সমাধান হয়ে গিয়েছে, বললেন পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্র

সৌমেন জানান, ওই খুনের ঘটনায় রহস্যের সমাধান হয়ে গেলেও দোষীদের এখনও গ্রেফতার করা যায়নি। তবে দোষীদের শীঘ্রই ধরা যাবে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ অক্টোবর ২০২১ ১৪:৩০
সুবীর চাকী খুনের ঘটনায় রহস্যের সমাধান হয়ে গিয়েছে জানালেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্র।

সুবীর চাকী খুনের ঘটনায় রহস্যের সমাধান হয়ে গিয়েছে জানালেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্র। নিজস্ব চিত্র

খুনি কে, তা জেনে ফেলেছেন তদন্তকারীরা। ফলে গড়িয়াহাট জোড়া খুনের ঘটনায় রহস্যের সমাধান হয়ে গিয়েছে। বৃহস্পতিবার এমনটাই জানালেন কলকাতা পুলিশের কমিশনার সৌমেন মিত্র। তাঁর কথায়, ‘‘আমাদের গোয়েন্দা বিভাগ এবং অন্য অফিসাররা মিলে গড়িয়াহাটের জোড়া খুনের ঘটনায় সমাধান করেছে। আরও কয়েকজনকে গ্রেফতার করা বাকি।’’


গত রবিবার গড়িয়াহাটের কাঁকুলিয়ায় খুন হন কর্পোরেট কর্তা সুবীর চাকী এবং তাঁর গাড়ির চালক রবীন মণ্ডল। ওই ঘটনায় বুধবার মিঠু হালদার নামে এক মহিলাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। লালবাজারের গোয়েন্দারা ওই দিন মিঠুকে দিনভর জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পেরেছে, জোড়া খুনের ষড়যন্ত্রে তিনি জড়িত। এর পর তদন্তকারী অফিসাররা আরও জানতে পারেন, মিঠুর বড় ছেলে ভিকি হালদারই এই খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত। কিন্তু তাঁকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তিনি এবং তাঁর সঙ্গে ওই খুনের ঘটনায় জড়িত কয়েকজন এখনও পলাতক। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার পুলিশ কমিশনার ওই অধরা ব্যক্তিদের গ্রেফতারির দিকেই ইঙ্গিত করেছেন বলে মনে মনে করা হচ্ছে। তিনি জানিয়েছেন, ওই খুনের ঘটনায় রহস্যের সমাধান হয়ে গেলেও দোষীদের এখনও গ্রেফতার করা যায়নি। তবে দোষীদের ধরা যে স্রেফ সময়ের অপেক্ষা, তা মনে করছেন তদন্তকারীরা।

Advertisement

বুধবারই মিঠুর ডায়মণ্ড হারবারের বাড়িতে তল্লাশি চালায় পুলিশ। সেখান থেকে বেশ কয়েকটি রক্ত মাখা পোশাক উদ্ধার করা হয়। ওই পোশাক ভিকি এবং তাঁর সঙ্গীদের বলেই অনুমান পুলিশের। মিঠু যে বাড়িতে ভাড়া থাকেন, সেই বাড়ির মালিক বলেন, দু’দিন আগে ওই রক্ত লাগা পোশাক মিঠুকে কাচতে দেখেছিলেন তিনি। প্রশ্ন করায় মিঠু তাঁদের বলেছিলেন, ‘‘ছেলে পুজোয় মারপিট করেছে। তাতে জখম হওয়ায় রক্ত লেগেছে পোশাকে।’’


মিঠুকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তকারীরা জেনেছেন, সুবীরের বাড়ি থেকে কিছুটা দূরেই কাঁকুলিয়া রেল গেটের কাছে মিঠুর শ্বশুরবাড়ি। মিঠু বেশ কয়েক বছর সেখানে ছিলেন। তবে স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় তিনি ডায়মণ্ড হারবারে একটি বাড়িতে চলে আসেন।


নিহত কর্পোরেট কর্তা সুবীর কাঁকুলিয়ায় তাঁর পৈতৃক বাড়িটি বিক্রির চেষ্টা করছিলেন দীর্ঘ দিন ধরেই। কাগজে তার বিজ্ঞাপন দেখে এর আগেও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন মিঠুর ছেলে ভিকি। রবিবার নতুন ক্রেতা সেজে তিনি কর্পোরেট কর্তা সুবীরের সঙ্গে দেখা করেন। তবে সুবীর তাঁকে চিনে ফেলেন বলে অনুমান। গোয়েন্দাদের ধারণা, তার পরেই সম্ভবত সুবীরকে হত্যা করেন ভিকি এবং তাঁর বন্ধুরা।

Advertisement
আরও পড়ুন