Protests

মামলার জন্য প্রাথমিকে পঞ্চম যোগে তৎপরতা, দাবি চাকরির প্রার্থীদের

টেট পাশ ডিএলএড চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ জানাচ্ছেন, প্রাথমিকে পঞ্চম শ্রেণি যোগ করার জন্য ইতিমধ্যে হাই কোর্টে তাঁরা মামলা করেছেন।

Advertisement
আর্যভট্ট খান
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ জুলাই ২০২৪ ০৭:৪২

— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

স্কুল ভবন মেরামত করার পরে প্রতিটি ব্লক বা মিউনিসিপ্যালিটি থেকে ১০টি করে নয়, আরও বেশি সংখ্যক প্রাথমিক স্কুলে পঞ্চম শ্রেণি যুক্ত করতে হবে। তা হলে প্রাথমিকে নিয়োগ প্রক্রিয়া দ্রুত হবে। এমনটাই দাবি করছেন টেট পাশ করে বসে থাকা লক্ষাধিক চাকরিপ্রার্থী। তাঁদের একাংশের দাবি, শিক্ষার অধিকার আইন বলছে, প্রাথমিকে শিক্ষা বলতে বোঝায়, প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি। শিক্ষা দফতর ২০১৯ সালে জানায়, ধাপে ধাপে প্রাথমিক স্কুলে পঞ্চম শ্রেণি যোগ করা হবে। তাঁদের প্রশ্ন, সেই প্রক্রিয়া কেন সম্পূর্ণ হল না?

Advertisement

টেট পাশ ডিএলএড চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ জানাচ্ছেন, প্রাথমিকে পঞ্চম শ্রেণি যোগ করার জন্য ইতিমধ্যে হাই কোর্টে তাঁরা মামলা করেছেন। সম্প্রতি শিক্ষা দফতর ঘোষণা করেছে, প্রতিটি ব্লক ও মিউনিসিপ্যালিটি থেকে কমপক্ষে ১০টি প্রাথমিক স্কুলের ভবন মেরামতি এবং পঞ্চম শ্রেণি যোগ করার কথা। চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, তাঁরা মামলা করার পরেই টনক নড়েছে শিক্ষা দফতরের। প্রথম দফায় কয়েক হাজার প্রাথমিক স্কুলে পঞ্চম শ্রেণি যোগ হলেও এখনও বহু স্কুলে বাকি রয়েছে।

২০২২ সালের প্রাথমিক টেট পাশ ডিএলএড প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চাকরিপ্রার্থী বিদেশ গাজি, মোহিত করাতি, হাফিজুর রহমান, সুভাষচন্দ্র বাগেরা কলকাতা হাই কোর্টে গত ১৮ সেপ্টেম্বর একটি মামলা দায়ের করেন। তাঁদের দাবি, প্রাথমিক স্কুলে পঞ্চম শ্রেণি যুক্ত করে ছাত্র-শিক্ষক সঠিক অনুপাতে শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে। বিদেশ বলেন, ‘‘প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় পর্যবেক্ষণ করে মামলাটিকে জনস্বার্থ মামলা হিসাবে বিবেচনা করতে প্রধান বিচাপতির কাছে পাঠান। পরবর্তী কালে জয়মাল্য বাগচী এবং গৌরাঙ্গ কান্থের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটির শুনানি হয়। ৩ মে ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, সব প্রাথমিক স্কুলে পঞ্চম শ্রেণি কোন সময়ের মধ্যে যুক্ত করা হবে, তার রিপোর্ট এফিডেভিট হিসাবে জমা করতে হবে। এই এফিডেভিট জমা হলেও চূড়ান্ত শুনানি হয়নি।’’

বিদেশদের দাবি, সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির পড়ুয়াদের কেবল ডিএলএড প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত টেট পাশরাই পড়াতে পারবেন। ওই দুই শর্ত না মানলে পড়ুয়াদের মৌলিক অধিকার বঞ্চিত হবে। দেখা গিয়েছে, বর্তমানে রাজ্যের বহু উচ্চ প্রাথমিক স্কুলে যেখানে ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে পড়ানোর কথা, সেখানে পঞ্চম শ্রেণি যোগ করে আংশিক সময়ের ও চুক্তিভিত্তিক শিক্ষকেরা পঞ্চম শ্রেণিতে পড়াচ্ছেন। এই শিক্ষকেরা অনেকেই টেট পাশ নন, অনেকে ডিএলএড প্রশিক্ষিত নন।

চাকরিপ্রার্থীদের প্রশ্ন, এক-একটি ব্লকে যেখানে একশোর উপরে প্রাথমিক স্কুল আছে, সেখানে কেন এই পর্যায়ে ১০টি করে প্রাথমিক স্কুলকে পঞ্চম শ্রেণির জন্য বাছাই করতে বলেছে শিক্ষা দফতর? গ্রামাঞ্চলে বহু প্রাথমিক স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা বেশ ভাল। সেখানে প্রাথমিক স্কুল থেকে উচ্চ প্রাথমিক বা উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল অনেক দূরে। ফলে প্রাথমিক স্কুলে যদি পঞ্চম শ্রেণি যোগ হয়, তা হলে পড়ুয়ারা উপকৃত হবে। তখন শিক্ষক নিয়োগ হলে প্রচুর টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীও চাকরি পাবেন।

আরও পড়ুন
Advertisement