রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে বিধানসভায় বিবৃতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। — ফাইল ছবি।
ডেঙ্গিতে রাজ্যে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে বিধানসভায় বিবৃতি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, তার মধ্যে ছ’জনের মৃত্যু হয়েছে সরকারি হাসপাতালে। বাকি পাঁচ জনের মৃত্যু বেসরকারি হাসপাতালে। মুখ্যমন্ত্রী মেনে নিয়েছেন রাজ্যে এ বছর ডেঙ্গির প্রভাব বেড়েছে। পাশাপাশি তাঁর দাবি, শীত পড়লেই ডেঙ্গি কমবে।
নতুন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের শপথগ্রহণের দিনই বিধানসভায় ডেঙ্গি নিয়ে বিবৃতি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। জানালেন, এ রাজ্যে ডেঙ্গিতে এ বছর মৃত্যু হয়েছে মোট ১১ জনের। তার মধ্যে ছ’জনের মৃত্যু হয়েছে সরকারি হাসপাতালে। বুধবার বিধানসভায় দাঁড়িয়ে মমতা বলেন, ‘‘গত দু’বছর করোনার কারণে ডেঙ্গি কম ছিল। এ বছর ডেঙ্গি বেড়েছে। পজিটিভিটি রেট ৭ শতাংশ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এখন কন্ট্রোলে (নিয়ন্ত্রণে) আছে। মূলত, কলকাতা, হাওড়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং হুগলিতে ডেঙ্গির প্রভাব বেশি। পুরসভার পাশাপাশি পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর হাতে হাত মিলিয়ে স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে ডেঙ্গি মোকাবিলার কাজ করছে।’’ এ প্রসঙ্গে অহেতুক চিন্তার কোনও কারণ নেই বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘এখন ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে আছে। কিন্তু আগামী এক মাস সরকার ডেঙ্গি দমনে কোনও শিথিলতা দেখাবে না। সব দলের বিধায়ককে বলব, সচেতন থাকুন। তবে অহেতুক চিন্তার কোনও কারণ নেই।’’ শীত পড়লেই ডেঙ্গির প্রকোপ কমে যাবে বলেও দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী।
এই প্রসঙ্গেই বিরোধীদের তথ্য গোপনের অভিযোগ নিয়েও মুখ খোলেন মমতা। বিধানসভায় দাঁড়িয়ে তাঁর বিরোধীদের জবাব, ‘‘ডেঙ্গি সম্পর্কে সব তথ্য সরকারি পোর্টালে তুলে দেওয়া যায় না। এ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ রয়েছে। সরকার সেই নির্দেশ মেনেই কাজ করছে।’’
এই প্রেক্ষিতেই সার নিয়ে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগও উঠে আসে মুখ্যমন্ত্রীর মুখে। তিনি জানান, এপ্রিল মাসে সার চেয়ে কেন্দ্রকে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু যতটা দাবি ছিল তার মাত্র এক তৃতীয়াংশ সার মিলেছে।