Calcutta High Court

‘এর পর বিচারক নিয়োগও কি চুক্তিতে হবে’? জেলা আদালতে অস্থায়ী নিয়োগে স্থগিতাদেশ হাই কোর্টের

উত্তর ২৪ পরগনা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা আদালতে পাঁচশোর বেশি শূন্যপদ রয়েছে। সম্প্রতি ওই দুই জেলা আদালতে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ৩১ জুলাই ২০২৪ ১৬:২২
Calcutta High Court puts stay on contractual recruitment in two district courts

কলকাতা হাই কোর্ট। —ফাইল চিত্র।

রাজ্যের দুই জেলা আদালতে অস্থায়ী কর্মী নিয়োগের উপর স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। উত্তর ২৪ পরগনা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা আদালতের ক্ষেত্রে বুধবার এই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অরিন্দম মুখোপাধ্যায়। কেন জেলা আদালতে চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগ হবে, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে হলফনামা জমা দেওয়ার জন্যও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। মামলার শুনানির সময় বিচারপতির মন্তব্য, “এমন চলতে থাকলে, এর পরে কি জেলা বিচারকও চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ হবে?”

Advertisement

প্রসঙ্গত, রাজ্যের বিভিন্ন জেলা আদালতে বহু শূন্যপদ রয়েছে। তার মধ্যে (গত বছরের নভেম্বর মাসের হিসাব অনুযায়ী) এই দুই জেলা মিলিয়েই রয়েছে পাঁচশোর বেশি শূন্যপদ। উত্তর ২৪ পরগনায় ২৬৭ শূন্যপদ এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ২৫৭ শূন্যপদ। সম্প্রতি এই দুই জেলা আদালতে অস্থায়ী কর্মী নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে ওয়েস্ট বেঙ্গল কোর্ট এমপ্লয়িজ় অ্যাসোসিয়েশন। আদালতে কেন অস্থায়ী কর্মী নিয়োগ হবে? সেই প্রশ্ন তুলে হাই কোর্টে মামলা করে আদালত কর্মীদের সংগঠন। বুধবার সেই মামলায় অস্থায়ী নিয়োগের উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। সেপ্টেম্বর মাসে এই মামলার পরবর্তী শুনানির সম্ভাবনা।

বুধবার মামলাকারী সংগঠনের তরফে আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী ফিরদৌস শামিম। তাঁর যুক্তি, সরকারের বিশেষ কিছু দফতর বা বিভাগ রয়েছে, যেখানে অস্থায়ী কর্মী নিয়োগ করা যায় না। সেই তালিকায় রয়েছে আদালতের কর্মী নিয়োগও। এই নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের অতীতের নির্দেশের কথাও তুলে ধরেন তিনি।

ফিরদৌস আদালতে আরও জানান, ২০১৪ সাল থেকে রাজ্যের জেলা আদালতগুলিতে স্থায়ী কর্মী নিয়োগ করা হয়নি। ফলে প্রায় ২৫ শতাংশেরও বেশি শূন্যপদ পড়ে রয়েছে বলে দাবি মামলাকারী পক্ষের আইনজীবীর। ১০ বছর পরেও কেন জেলা আদালতে স্থায়ী নিয়োগে অনিচ্ছুক রাজ্য, তা নিয়ে আদালতে প্রশ্ন তোলেন ফিরদৌস।

আরও পড়ুন
Advertisement