Shoot at Bandel

ঝগড়া করতে করতে স্ত্রীকে গুলি করলেন ব্যান্ডেলের যুবক, গলার ‘নকল সোনা’ প্রাণে বাঁচিয়ে দিল যুবতীকে!

হুগলির ব্যান্ডেলে এক অটোচালক তাঁর স্ত্রীকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে পালিয়ে যান। পরে অবশ্য পুলিশ তাঁকে আটক করেছে। উদ্ধার হয়েছে আগ্নেয়াস্ত্রও। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় আহত যুবতীকে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৬ নভেম্বর ২০২৪ ২২:৩০

এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

দাম্পত্য কলহের জেরে স্ত্রীকে গুলি করে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির ব্যান্ডেলের মানসপুরে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে। তাঁর কাছ থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্রও পাওয়া গিয়েছে। অন্য দিকে, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, অল্পের জন্য বড় বিপদের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন ওই যুবতী। কারণ, স্বামীর ছোড়া গুলিটি তাঁর গলায় থাকা ইমেটশনের গয়নায় লেগে ঠিকরে গিয়েছে।

Advertisement

স্থানীয় এবং পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্যান্ডেলের মানসপুরে বাড়ি পেশায় অটোচালক কিষাণ মালি মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ স্ত্রী কালা মালিকে গুলি করে পালিয়ে যান। গুলির শব্দ শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে গিয়েছিলেন। খবর যায় থানায়। রাত ৮টা নাগাদ চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় আহত ওই যুবতীকে। তবে চিকিৎসকেরা পরীক্ষা করে জানান তিনি বিপন্মুক্ত। হাসপাতালে বসে ওই যুবতী বলেন, ‘‘এখানে ভাড়াবাড়িতে থাকি। স্বামী রোজই মদ খায়। তার পর বাড়ি এসে অশান্তি করে। রোজই বলত, মেরে দেবে। আজ (মঙ্গলবার) বাড়িতে ছিলাম। ছেলে ছিল পাশে। হঠাৎ ঘরে ঢুকে ঝগড়া শুরু করল। কথা বলতে বলতে বন্দুক বার করে গুলি ছুড়ল।’’ কালার সংযোজন, ‘‘আমার গলায় ‘সিটি গোল্ডের চেন’ ছিল, তাতে গুলিটা লেগে বেরিয়ে যায়। ভাগ্যের জোরে বেঁচে গিয়েছি।’’

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আক্রান্ত যুবতীর আগে একটি বিয়ে রয়েছে। প্রথম পক্ষের স্বামী থাকেন পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুরে। তাঁদের একটি মেয়েও রয়েছে। তবে কিষাণের সঙ্গে বছর আটেক আগে ব্যান্ডেলে চলে এসেছিলেন কালা। আবার সংসার বাঁধেন। চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি বলেন, ‘‘ইতিমধ্যে অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে। আগ্নেয়াস্ত্রটিও উদ্ধার করা গিয়েছে। কোথা থেকে সে অস্ত্র পেল, সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’

Advertisement
আরও পড়ুন