আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। —ফাইল চিত্র।
পাকিস্তান সফরের মাঝ পথেই দেশে ফিরে যাচ্ছে শ্রীলঙ্কা ‘এ’ দল। রাজনৈতিক প্রতিবাদে উত্তাল ইসলামাবাদ। সে কারণে মঙ্গলবার এক দিনের সিরিজ়ের দ্বিতীয় ম্যাচ বাতিল করতে বাধ্য হন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) কর্তারা। নিরাপত্তার কারণে ছোটদের দলকে দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্রিকেট শ্রীলঙ্কা। এই ঘটনা আগামী বছর চ্যাম্পিয়ন্স আয়োজনের ক্ষেত্রে পাকিস্তানের বিপক্ষে যেতে পারে।
পাকিস্তান শাহিনসের (‘এ’ দল) সঙ্গে সাদা বলের সিরিজ় খেলতে পাকিস্তানে গিয়েছিল শ্রীলঙ্কার ছোটদের দল। প্রথম এক দিনের নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হলেও পাকিস্তানে রাজনৈতিক অস্থিরতার জন্য দ্বিতীয় ম্যাচ হতে পারেনি। ক্রিকেটারদের নিরাপত্তাকে গুরুত্ব দিয়ে মঙ্গলবার খেলা শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে ম্যাচ বাতিলের সিদ্ধান্ত নেন পিসিবি কর্তারা।
পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সিরিজ়ের দ্বিতীয় এবং তৃতীয় ম্যাচ ইসলামাবাদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেন পিসিবি কর্তারা। দ্বিতীয় ম্যাচ বুধবার এবং তৃতীয় ম্যাচ শুক্রবার রাওয়ালপিন্ডিতে করার কথা বলা হয়। শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট কর্তাদের সঙ্গে কয়েক দফা আলোচনাও করেন। আশ্বাস দেওয়া হয় নিরাপত্তা নিয়ে। কিন্তু পরিস্থিতি বিবেচনা করে ক্রিকেটারদের সিরিজ়ের মাঝ পথেই দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট কর্তারা। যা আগামী চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজক পাকিস্তানের বিপক্ষে যেতে পারে।
পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফ আন্দোলন শুরু করেছে। পাকিস্তানের বিশ্বকাপজয়ী প্রাক্তন অধিনায়কের মুক্তির দাবিতে রবিবার থেকে ইসলামাবাদে রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়েছে তারা। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তেহরিক-ই-ইনসাফের নেতা-কর্মীরা ইসলামাবাদের দিকে যাচ্ছেন। বিভিন্ন জায়গায় তাঁদের পথ আটকাচ্ছে প্রশাসন। তা ঘিরে একাধিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে উঠছে পাকিস্তানের রাজধানীর।
পিসিবি জানিয়েছে, পাকিস্তান শাহিনস এবং শ্রীলঙ্কার ‘এ’ দলের সিরিজ় আপাতত স্থগিত রাখা হচ্ছে। দু’দেশের বোর্ড সিরিজ়ের নতুন সূচি নিয়ে আলোচনা করছে। উল্লেখ্য, প্রথম এক দিনের ম্যাচে পাকিস্তানের ছোটদের দল ১০৮ রানে জিতেছে। অন্য দিকে পিসিবি চেয়ারম্যান তথা পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী মহসিন নকভি জানিয়েছেন, ইসলামাবাদের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনীর সাহায্য চাওয়া হয়েছে।