Arrest

ভিসার মেয়াদ শেষ, তবুও ভারতে বাস নাইজিরিয়ার যুবকের, ফাঁদ পেতে ২৫ লক্ষের প্রতারণা! গ্রেফতার

গত ২৪ অগস্ট ধনিয়াখালি থানায় মৌসুমি সাহা নামে এক মহিলা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি পেশায় এক জন ব্যাঙ্ক কর্মী। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্ত করে গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তকে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ ২৩:৪২
এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে।

এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

ভিসার মেয়াদ শেষ। তার পরও ভারতেই বসবাস করছিলেন। শুধু তা-ই নয়, সমাজমাধ্যমে প্রেমের ফাঁদ পেতে টাকা হাতানোরও কাণ্ড ঘটিয়েছেন! এমন অভিযোগে দিল্লি থেকে নাইজিরিয়ার এক বাসিন্দাকে গ্রেফতার করল হুগলি গ্রামীণ পুলিশ।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৪ অগস্ট ধনিয়াখালি থানায় মৌসুমি সাহা নামে এক মহিলা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি পেশায় এক জন ব্যাঙ্ক কর্মী। তাঁর অভিযোগ, মাস কয়েক আগে সমাজমাধ্যমে এক ব্যক্তির সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল তাঁর। তিনি নিজেকে নেদারল্যান্ডসের বাসিন্দা বলে পরিচয় দিয়েছিলেন। জানান, তিনি পেশায় এক জন চিকিৎসক। পরিচয় পর ক্রমে দু’জনের মধ্যে কথাবার্তা বাড়তে থাকে। আলাপ আরও গভীর হয়। এক দিন ওই ব্যক্তি অভিযোগকারিণীকে জানান, তিনি একটি উপহার কিনেছেন। তা ওই মহিলাকে দিতে চান। তবে দিল্লি বিমানবন্দরে উপহারটি আটকে আছে।

বিমানবন্দর থেকে উপহার ছাড়াতে বেশ কিছু অর্থের প্রয়োজন বলে ওই মহিলাকে জানান অভিযুক্ত। তাঁর কথায় ভুলে ওই মহিলা ধাপে ধাপে ওই মহিলা বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে ২৫ লক্ষ ৪৬ হাজার টাকা দেন। পরে সেই টাকা ওই অ্যাকাউন্টে সরিয়ে ফেলা হয় বলে অভিযোগ। হুগলি গ্রামীন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ (হেড কোয়ার্টার) সুপার কল্যাণ সরকার জানান, অভিযোগ পাওয়ার পরই হুগলি গ্রামীণ পুলিশের সাইবার থানা তদন্ত শুরু করে। তদন্তের সূত্র ধরে দিল্লির গৌতমবুদ্ধ নগর থানা এলাকা থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। জানা যায় অভিযুক্ত নাইজেরিয়ার বাসিন্দা। তাঁর নাম ইজিকেন এনোগি ওঘেনা।

ধৃতের কাছ থেকে কয়েকটি মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ এবং পাসপোর্ট পাওয়া গিয়েছে। কল্যাণের জানান, বিজনেস ভিসা নিয়ে ভারতে এসেছিলেন অভিযুক্ত। কিন্তু ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও ভারতেই ছিলেন তিনি। ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও কেন এ দেশে ছিলেন তিনি তা-ও তদন্ত করে দেখা হবে। দিল্লিতে বসেই তিনি প্রতারণার ছক কষেন। অন্য কারও সঙ্গে এমন ধরনের কোনও প্রতারণা করেছিলেন কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বাজেয়াপ্ত করা জিনিসপত্র ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো বলে জানান কল্যাণ।

Advertisement
আরও পড়ুন