—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
‘ট্রেনে ট্রেনে বিরিয়ানি দিতে হবে। ভাল টাকা। দেবেন?’ দিন কয়েক আগে আইআরসিটিসি-র মাধ্যমে বরাত পেয়ে বেশ উৎসাহই পেয়েছিলেন হুগলির চুঁচুড়ার বিরিয়ানি দোকানদার মহম্মদ গুলাম সাবির। কিন্তু কিছু দিনেই ‘স্বপ্নভঙ্গ’। টাকা নিয়ে প্রতারণা করার অভিযোগে পুলিশ ডেকে এক ব্যক্তিকে ধরিয়ে দিলেন তিনি। অভিযোগ, আইআরসিটিসি-র মাধ্যমে ট্রেনে বিরিয়ানির বরাত পাইয়ে দেওয়ার নাম করে প্রায় দু’লক্ষ টাকা প্রতারণা করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
চুঁচুড়া শহরে যত্রতত্রই বিরিয়ানির দোকান। লাল কাপড় দিয়ে ঘেরা বড় বড় হাঁড়ি থেকে বিরিয়ানির সুবাস খাদ্য রসিকদের আকর্ষণ করবেই। দূরপাল্লার ট্রেনযাত্রীদের কাছে সেই বিরিয়ানি বিক্রির লোভ দেখিয়ে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। কী ভাবে?
চুঁচুড়া ঘড়ির মোড়ে বিরিয়ানির দোকান রয়েছে গুলাম সাবিরের। তাঁর অভিযোগ, হুগলিঘাট মোগলপুরা এলাকার বাসিন্দা নিত্যানন্দ দীক্ষিত কয়েক দিন আগে চুঁচুড়া স্টেশন এলাকার এক ব্যাক্তিকে নিয়ে তাঁর দোকানে এসেছিলেন। তাঁরা জানান, আইআরসিটিসি সংস্থা ট্রেনে বিরিয়ানি বিক্রির সুযোগ দিচ্ছে। প্রতিদিন ষোলশো প্যাকেট বিরিয়ানি দিতে হবে আশি টাকা দরে। গুলাম রাজি হয়ে যান। আরও তিন দোকানদারকে নিয়ে মোট চারটি দোকানের জন্য চুক্তি করেন। তিনি বলেন, ‘‘কোর্ট পেপারে চুক্তি হয়। আইআরসিটিসি থেকে ভেরিফিকেশান কোড দেওয়া হয় মোবাইলে। চারটি দোকান থেকে পঞ্চাশ হাজার করে মোট দু’লাখ টাকা নেয় ওই দুই জন। প্রসেসিং ফি হিসাবে বারোশো আশি টাকা করেও নেয় ওরা।’’ তার পর?
রবিবার রাতে আরও টাকা নিতে এক যুবক গুলামের বিরিয়ানি দোকানে আসেন। এর মধ্যেই ওই ব্যবসায়ী খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, দূরপাল্লার ট্রেনে খাবার সরবরাহ বা টেন্ডার যা কিছু হয়, সবটাই অনলাইনে। নগদ টাকা দিয়ে কিছু হয় না। তাই নিত্যানন্দকে ধরে দোকানে বসিয়ে রাখেন তিনি। টাকা ফেরত দিতে বলেন। অন্য দিকে, নিত্যানন্দ যাঁর মাধ্যমে ওই কাজ করেছিলেন, রবি মজুমদার নামে এক ব্যক্তিকে ফোন করে করে পাওয়া যায়নি। এর পর বিরিয়ানি ব্যবসায়ী পুলিশ ডেকে ‘প্রতারক’কে ধরিয়ে দেন। পুলিশ অভিযোগ খতিয়ে দেখছে।